ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান স্বাধীনতা ঘোষণা, সর্বশেষ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান—সব আন্দোলনেই জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছে চট্টগ্রাম। আন্দোলন–সংগ্রামের এই ঐতিহাসিক ভূমিকা তুলে ধরে প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম জাতিকে সঠিক পথ দেখিয়েছে।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জুলাই জাগরণ : সম্মিলিত দীপ্ত প্রতিরোধ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভিডিও বার্তায় এই মন্তব্য করেন তিনি। এদিন শহিদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান ও সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করা হয়।
প্রেস সচিব বলেন, ‘চট্টগ্রাম আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা ঘোষণা এবং সদ্য পতন হওয়া ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন—সবক্ষেত্রেই চট্টগ্রাম জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছে, সঠিক পথ দেখিয়েছে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘এই অনুষ্ঠানমালা দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে মানুষ জুলাই আন্দোলন সম্পর্কে আরও জানবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির আহ্বায়ক ফরিদা খানম। সঞ্চালনায় ছিলেন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব, সাংবাদিক মিয়া মোহাম্মদ আরিফ।
বক্তব্য দেন প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর নসরুল কবীর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মহানগর জামায়াতের সাবেক আমীর মো. শাহজাহান চৌধুরী, সাংবাদিক ওসমান গণি মনসুর, প্রেসক্লাব সদস্য সচিব সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, ডা. খুরশিদ জামিল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, সাংবাদিক সালেহ নোমান, সমন্বয়ক রাসেল আহমদ, দিল আফরোজ, ওমর ফারুক সাগর ও রেজোয়ান সিদ্দিকী।
স্মৃতিচারণ করেন শহিদ ওয়াসিমের বাবা শফি আলম, শহিদ ওমর ফারুকের স্ত্রী সিমা আক্তার ও শহিদ ফয়সাল আহমদ শান্তর মা কোহিনুর আক্তার।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধারা আমাদের জন্য স্ফুলিঙ্গ। তাদের আত্মত্যাগ ইতিহাসে অম্লান থাকবে। তারা আজীবন সম্মানিত হবেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের স্মরণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হবে, জুলাই ঘোষণা বাস্তবায়িত হবে এবং ফ্যাসিস্টদের বিচার হবে।’
অনুষ্ঠানে শহিদ পরিবার ও আন্দোলনের সংগঠকদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
সপ্তাহব্যাপী আয়োজনে রয়েছে তারুণ্যের ভাবনা, সাংবাদিকদের ভূমিকা, আইনি বিশ্লেষণ, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও ফটো প্রদর্শনী। শেষ দিন অনুষ্ঠিত হবে ‘জুলাই থেকে যাত্রা–সংগ্রামের একতা’ শীর্ষক উন্মুক্ত সমাবেশ।
এমআর/টিকে