খাদ্য অপচয়ের যুগে একটি জীবন্ত শহর গোরস্তান বানিয়ে ফেলা হচ্ছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও অবরোধে ক্ষুধার যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে উপত্যকার বাসিন্দাদের। চলমান এই অবরোধের কারণে অপুষ্টির মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই দৃশ্যগুলো নাড়া দিচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তের নাগরিকদের। ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-দুর্দশা নাড়া দিয়েছে জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহকে। ফিলিস্তিনিদের কষ্টের কথা তুলে ধরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি বলেছেন, আমাদের সন্তানদের একবেলার ক্ষুধার কষ্ট দেখেই আমরা দিশেহারা হয়ে যাই। অথচ গাজার লাখ লাখ শিশু দিনের পর দিন না খেতে পেয়ে তিল তিল করে মারা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মানবতার ধ্বজাধারীরা একদিকে তাদের ওপর বোমা ফেলছে। আবার যারা বোমা থেকে বেঁচে যাচ্ছে, তাদেরকে মারছে খাবারের কষ্ট দিয়ে।

তিনি বলেন, এই বিপুল খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য অপচয়ের যুগে, এই পৃথিবীরই একটি ভূখণ্ডে কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হচ্ছে, লাখ লাখ মানুষ মেরে ফেলা হচ্ছে, আমাদের চোখের সামনে একটি জীবন্ত শহরকে গোরস্তান বানিয়ে ফেলা হচ্ছে, অথচ তার কোনো অভিঘাত আমাদের জীবনের ওপর পড়ছে না।

বিশ্ব মোড়লদের নিরবতায় আফসোস করে তিনি বলেন, আরববিশ্ব, জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা কিংবা বিশ্বনেতারাও নিশ্চুপ। আটশ কোটি মানুষ আমরা ইতিহাসের এই দায় কীভাবে শোধ করব!

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, হে আল্লাহ, যাদের কারণে গাজার শিশুরা অনাহারে মরছে, তাদের জন্য তুমি দ্বিগুণ শাস্তির ব্যবস্থা করো।

ফিলিস্তিনিদের ক্ষুধার কষ্ট নিয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীতে ক্ষুধার কষ্টের মৃত্যুই হয়তো সব থেকে কঠিন। কারণ, অন্যান্য দুর্ঘটনার মৃত্যু হঠাৎ করে আসে। কিন্তু অনাহারের মৃত্যু মানুষকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে। গাজার শিশুদের কঙ্কালসার শরীর দেখেও যাদের বিবেক জাগ্রত হয় না, তাদের ঘুম আর কীসে ভাঙবে!

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মিথ্যা বলেছিলেন টিউলিপ: দ্য টাইমস Sep 18, 2025
img
প্রথম প্রেম মনে করার দিন আজ Sep 18, 2025
img
হিমাচলে বন্যার্তদের তোপের মুখে কঙ্গনা Sep 18, 2025
img
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাজ্যের স্বীকৃতির বিরোধিতা করলেন ট্রাম্প Sep 18, 2025
img
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ Sep 18, 2025
img
নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধের সাজা বাড়ছে Sep 18, 2025
img

শেষ ওভারে নবির ৫ ছক্কা

শ্রীলংকাকে ১৭০ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান Sep 18, 2025
img
আওয়ামী লীগের মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক গ্রেপ্তার Sep 18, 2025
img
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার Sep 18, 2025
img
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৫৬ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি Sep 18, 2025
img
যারা পিআর নিয়ে কথা বলে তারা নির্বাচনের বিরোধিতা করে : টুকু Sep 18, 2025
img
অনেকেই চান দুর্নীতি থাকুক, কারণ তারা এ থেকে সুবিধা পান: ফাওজুল কবির Sep 18, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি ফেডারেশনকে পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবে : ডা. জাহিদ Sep 18, 2025
img
ফ্রান্সে বিক্ষোভ বেড়েই চলছে Sep 18, 2025
img
কয়েকটি রাজনৈতিক দল চায় দেশে যাতে নির্বাচন না হয়: মেজর হাফিজ Sep 18, 2025
img
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র Sep 18, 2025
img
প্রেমিকের সঙ্গে মা উধাও, ছেলের আয়োজনে বাবার নতুন বিয়ে! Sep 18, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদে আইন পাস : ইসি কর্মকর্তারাই হতে পারবেন সচিব Sep 18, 2025
img
ট্রাম্প ‘বিশ্বের সম্রাট’ নন: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট Sep 18, 2025
img
পিআর নিয়ে আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : প্রিন্স Sep 18, 2025