ইউরোপের যেসব দেশে বসবাস শুরু করলেই পাবেন কোটি টাকা!

ফাঁকা গ্রামীণ জনপদ, কর্মসংস্থানের অভাব, তরুণদের শহরমুখী প্রবণতা। এই ত্রিমাত্রিক সংকটে নাকাল ইউরোপের একাধিক দেশ। যারা এখন জনসংখ্যা বাড়াতে নিচ্ছে অভিনব কৌশল। কোথাও পরিবার নিয়ে বসবাস করলেই মিলছে কোটি টাকা, আবার কোথাও মাত্র এক ইউরোতে মিলছে বাড়ি। শুধু তাই নয়, ব্যবসা শুরু করলেও মিলছে রেসিডেন্সি ও সরকারি সহায়তা। ভিসা থেকে শুরু করে ডিজিটাল নোম্যাডদের জন্যও খোলা হচ্ছে নতুন দরজা।

আয়ারল্যান্ড সরকারের ‘Our Living Islands’ প্রোগ্রামের আওতায় প্রত্যন্ত দ্বীপে পরিত্যক্ত বাড়ি সংস্কার করে থাকলেই মিলছে সর্বোচ্চ চুরাশি হাজার ইউরো অনুদান। এই দ্বীপগুলোতে গাড়ি চলে না, যেতে হয় নৌকা বা বিমানে। বিদেশিদের জন্য সরাসরি ইমিগ্রেশন না থাকলেও স্টার্টআপে পঞ্চাশ হাজার ইউরো বিনিয়োগে দীর্ঘমেয়াদি রেসিডেন্সি পাওয়া যাচ্ছে।

অন্যদিকে, সুইজারল্যান্ডের আলবিনেন গ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করলে স্থানীয় প্রশাসন দিচ্ছে প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পঁচিশ হাজার সুইস ফ্রাঁ এবং প্রতিটি শিশুর জন্য দশ হাজার সুইস ফ্রাঁ অনুদান। তবে এক্ষেত্রে বয়স পঁয়তাল্লিশের নিচে হতে হবে এবং অন্তত দশ বছর বসবাস করতে হবে।

ইতালি সরকার গ্রামের জনসংখ্যা টানতে দিচ্ছে এক ইউরোর বাড়ি ও সর্বোচ্চ ত্রিশ হাজার ইউরো নগদ সহায়তা। টোস্কানা, সারদিনিয়া অঞ্চলে এই সুযোগ বিশেষভাবে কার্যকর হচ্ছে। পাশাপাশি ডিজিটাল নোম্যাড ও ইনভেস্টর ভিসার সুযোগও রয়েছে।
স্পেনের এক্সত্রেমাদুরা অঞ্চলে তিরিশ বছরের নিচে নতুন বাসিন্দারা পাচ্ছেন দশ হাজার ইউরো পর্যন্ত অনুদান। এছাড়া মাসে অন্তত দুই হাজার সাতশ বাষট্টি ইউরো আয় থাকলেই মিলছে ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা, যা ইউরোপজুড়ে পরিবারসহ বসবাসের সুযোগ করে দিচ্ছে।

এইসব প্রণোদনা মূলত ইউরোপীয় জনসংখ্যা কাঠামোকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং গ্রামীণ অর্থনীতিকে বাঁচাতে সরকারের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, যা এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আগ্রহ কাড়ছে।

এফপি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
৭ নভেম্বরের চেতনায় জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান তারেক রহমানের Nov 06, 2025
img
৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ Nov 06, 2025
img
হাসপাতালে থেকেও ইতিবাচক বার্তা অভিনেতা জিতু কমলের Nov 06, 2025
img
মুক্তিযুদ্ধ-বাহাত্তরের সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলতে দেব না : আইনজীবী পান্না Nov 06, 2025
img
ফজলুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্তটি ভালো হয়েছে : জিল্লুর রহমান Nov 06, 2025
img
৬ জেলেকে তুলে নিয়েছে আরাকান আর্মি Nov 06, 2025
img
মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে জনসমক্ষে চুমু দেওয়ার চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার Nov 06, 2025
img
সেকেন্ড লাইফ হিসেবে কোচিং করার কথা ভেবেছিলাম: মোহাম্মদ আশরাফুল Nov 06, 2025
img
বিএনপি-জামায়াতকে ‘মল্লযুদ্ধ’ বন্ধ করার আহ্বান নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর Nov 06, 2025
img

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

একটি দল নিজস্ব কিছু ব্যক্তিকে মানুষের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে Nov 06, 2025
img
প্রযুক্তির উন্নতি ও অগ্রগতি, মানবদেহে প্রাথমিক পরীক্ষায় সফল ক্যান্সারের টিকা Nov 06, 2025
img
তারেক রহমানের দলকে নিবন্ধন দিলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে : নাছির উদ্দীন নাছির Nov 06, 2025
img
বিনানুমতিতে ম্যানেজিং কমিটিতে থাকায় শাস্তি পেলেন উপসচিব Nov 06, 2025
img
জিতুকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছালেন শ্রাবন্তী Nov 06, 2025
img
বিশ্বকাপ জয় ও শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে রোনালদো এবং মেসির ভিন্নমত Nov 06, 2025
img
বাংলাদেশের সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে নতুন ‘প্রিডেটর’ Nov 06, 2025
img
নারীদের যন্ত্রণা বুঝতে পুরুষদেরও এই অভিজ্ঞতা হওয়া উচিত : রাশমিকা Nov 06, 2025
img
৩০০ কোটির সিনেমার চেয়ে ইউটিউব আয়ে শীর্ষে ফারাহ Nov 06, 2025
img
বঙ্গবিভূষণ সম্মানে ভূষিত হলেন আরতি মুখোপাধ্যায় ও শত্রুঘ্ন সিনহা Nov 06, 2025
img
দিনশেষে জনতার যে রায়, সে রায়ই আমরা মেনে নেবো: হাসনাত আবদুল্লাহ Nov 06, 2025