ছেলের সেঞ্চুরির পর নির্বাচকদের সমালোচনা করেছে ওয়াশিংটনের বাবা

ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির মাধ্যমে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ড্র'য়ে বিশাল ভূমিকা রাখেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তবে এমন পারফরম্যান্সের পরও জাতীয় দলে তার অনিয়মিত উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার বাবা এম সুন্দর। ছেলেকে নিয়মিত সুযোগ না দেয়ায় নির্বাচকদের সমালোচনা করেছেন তিনি।

চতুর্থ টেস্টের শেষ দিনে ৮৯ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে ভারত। ছয় উইকেট হাতে থাকলেও দিনের খেলা বাকি ছিল ৬৫ ওভারের বেশি। প্রথমবার টেস্টে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০৬ বলে অপরাজিত ১০১ রানের ইনিংস খেলেন ওয়াশিংটন। রবীন্দ্র জাদেজার (১০৭*) সঙ্গে গড়েন ২০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। বল হাতে ম্যাচে দুটি উইকেটও নিয়েছেন ২৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।

ওয়াশিংটনের বাবা এম সুন্দর বলেন, 'ওয়াশিংটন ধারাবাহিকভাবে খুব ভালো করছে। কিন্তু মানুষ তার পারফরম্যান্স এড়িয়ে চলে ও ভুলে যায়। অন্য খেলোয়াড়রা নিয়মিত সুযোগ পায়, কেবল আমার ছেলেই পায় না।'

তিনি আরও বলেন, 'ওয়াশিংটনের উচিত চতুর্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের মতো পাঁচ নম্বরে নিয়মিত ব্যাট করা এবং টানা পাঁচ থেকে ১০ ম্যাচে সুযোগ পাওয়া। বিস্ময়করভাবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আমার ছেলেকে দলে নেয়া হয়নি। নির্বাচকদের তার পারফরম্যান্স দেখা উচিত।'



২০২১ সালের জানুয়ারিতে টেস্ট অভিষেকের পর ওয়াশিংটন খেলে ফেলেছেন ১২টি ম্যাচ। অভিষেকে গ্যাবায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাটে-বলে অবদান রেখে ভারতের ঐতিহাসিক জয়ে ভূমিকা রাখেন তিনি। এরপর দেশের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স ছিল তার।

চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে অপরাজিত ৮৫ এবং আহমেদাবাদে চতুর্থ টেস্টে অপরাজিত ৯৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ওয়াশিংটন। এম সুন্দর বলেন, 'ওই দুটি ইনিংস সেঞ্চুরিতে শেষ হলেও তাকে বাদ দেয়া হতো। অন্য কোনো ভারতীয় ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে কি এই ধরনের মনোভাব ধরে রাখা হয়েছে?'

টেস্ট ক্রিকেটে দীর্ঘ বিরতির পর ওয়াশিংটন ফেরার সুযোগ পান গত বছর রঞ্জি ট্রফিতে সেঞ্চুরির পর। এরপর নিউজিল্যান্ড সিরিজে দলে ডাক পান সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় পর। চলতি ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচে একাদশে রাখা হয়নি তাকে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে সুযোগ পেয়েই কাজে লাগিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৩০ জুলাই লাল রঙে রাঙা প্রতিবাদে কাঁপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম Jul 30, 2025
img
উরুগুয়েকে উড়িয়ে কোপা ফাইনাল-অলিম্পিকে ব্রাজিল Jul 30, 2025
img
শুল্কবিরোধ নিষ্পত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে প্যাকেজ প্রস্তাব দিল বাংলাদেশ Jul 30, 2025
হযরত আবু হুরায়রা রা এর কাহিনী | প্রতিদিনের ইসলামিক কার্টুন Jul 30, 2025
img
নিজেকে নিয়ে প্রশংসা শুনে যা করলেন কঙ্গনা Jul 30, 2025
img
জাপানে যুদ্ধের প্রস্তুতি? কুমামোতোয় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সিদ্ধান্ত Jul 30, 2025
img
আজ শুরু উচ্চমাধ্যমিক ভর্তির আবেদন, ৪৫ দিনে সম্পন্ন হবে প্রক্রিয়া Jul 30, 2025
img
একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগী ২০ হাজার ছাড়িয়েছে Jul 30, 2025
img
রাজশাহী হাসপাতালে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ১ জনের Jul 30, 2025
img
জাপানে ভয়াবহ সুনামির আঘাত, এগিয়ে আসছে আরও শক্তিশালী ঢেউ Jul 30, 2025
img
জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া না পাওয়া আমার হাতে নাই : সোহান Jul 30, 2025
img
নারীকেই কামনা-বাসনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে : জয়া Jul 30, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ১৮তম, শীর্ষে কিনশাসা Jul 30, 2025
img
রাশিয়ায় ৮.৭ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প, ২ দেশে সতর্কতা জারি Jul 30, 2025
img
দেশের ৭ অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস Jul 30, 2025
img
না ফেরার দেশে মিষ্টি জান্নাতের বাবা Jul 30, 2025
img
৩০ জুলাই: বিশ্বব্যাপী ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল? Jul 30, 2025
img
দুর্গাপূজার আগে পদ্মার ইলিশের অপেক্ষায় কলকাতার ব্যবসায়ীরা Jul 30, 2025
img
তারুণ্যের নেতৃত্ব জাতিসংঘের যুববিষয়ক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 30, 2025
img
ফিলিস্তিনকে সেপ্টেম্বরে স্বীকৃতি দেবে ইউরোপের আরও একটি দেশ Jul 30, 2025