আগামীতে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে গণ্ডগোল-মারামারি হবে : গোলাম মাওলা রনি

আগামীতে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে গণ্ডগোল এবং মারামারি হবে বলে আশঙ্কা করছেন সাবেক সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও কলাম লেখক গোলাম মাওলা রনি।


আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রধান উপদেষ্টা সাময়িকভাবে গঠন করেছেন। যেখানে প্রতিদিন রাজনৈতিক দলগুলো যায়, একটা মিনি পার্লামেন্টের মতো আলাপ আলোচনা করেন এবং সেই আলাপ আলোচনা করতে গিয়ে আগামী দিনের রাষ্ট্রব্যবস্থা, আগামী দিনের রাজনীতি এবং আগামী দিনের সংবিধান শাসনতন্ত্র থেকে শুরু করে যা কিছু রয়েছে সেগুলো কতটা আধুনিকায়ন করা যায়, কতটা জনকল্যাণমুখী করা যায় এই বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছে একটা দলিল তৈরি করতে চাচ্ছে।’


‘আপাতদৃষ্টিতে এটি একটি নির্লোভ, এটি একটি অসাধারণ উদ্যোগ।


আপাতদৃষ্টিতে হালকাভাবে যদি আপনি নেন, তাহলে মনে হবে যে বাঙালি জাতির কল্যাণের জন্যে এরকম সুন্দরতম কাজ কেউ আর ইতিপূর্বে করেনি। আর যারা এই কাজ করছেন অর্থাৎ যারা সেখানে অংশগ্রহণ করছেন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং যারা এটা পরিচালনা করছেন সরকারের পক্ষ থেকে তারা এই সময়ের একটা ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু যারা রাজনীতির বাস্তবতা বুঝেন, তারা প্রথম থেকেই বলার চেষ্টা করছেন যে, এই ঐকমত্য কমিশনের আলটিমেটলি ফলাফল শূন্য হবে না। মাইনাস মাইনাস মাইনাস।

‘এই ঐকমত্য কমিশনে ইদানীং যা কিছু ঘটছে, এই কমিশন গঠন করার পরেই সবাই বলেছে। দ্বিতীয়ত, আজকে যে কথা আমি বলতে চাচ্ছি, সেই ঘটনা যেটা এখনো ঘটেনি। তবে আগামীতে ঘটবে। যদি এই কমিশন এভাবে চলতে থাকে।

তার আগে বলে নেই, এই কমিশনের কয়েকজন কুশিলব আছেন যারা এখানে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। কুশিলবদের মধ্যে যিনি প্রধানতম ব্যক্তি, যিনি উজিরে আজম বা যিনি মেহমানে আজিম বা যিনি সরদারে নাজিম নেজামত। আপনারা যারা আরবি জানেন তারা জানেন নেজামত শব্দের অর্থ কী? যিনি সরদারে নেজামত সরদারে আজিম মানে যারা প্রধান ব্যক্তি, তাদের মধ্যে যিনি সবচেয়ে আমির তিনি হলেন ডক্টর আলী রীয়াজ। এখন তিনি যে কাজগুলো করছেন সে কাজের সঙ্গে তার জীবন, তার যৌবন, তার সম্মান, সুখ্যাতি ব্যক্তিগতভাবে জড়িত।
তার সঙ্গে যতটা আমার পরিচয় সে পরিচয় অনুযায়ী, এই কথাগুলো আমার বলা উচিত।

আর তিনি যেহেতু রাষ্ট্রের পক্ষ হয়ে কাজ করছেন, এই কাজের পরিণতি এ রাষ্ট্রে কি ঘটতে পারে আমি একজন দর্শক হিসেবে বা আমার যতটুকু অভিজ্ঞতা হয়েছে রাজনীতি নিয়ে সেই অভিজ্ঞতা একেবারে প্র্যাক্টিক্যাল। উনি হয়তো রাজনীতির শিক্ষক, সাংবাদিকতার শিক্ষক কিন্তু আমি রাজনীতির একেবারে একজন মাঠের কর্মী। এখানে রাজনীতির যে নেতিবাচক দিকগুলো শরীরে আঘাত করলে কেমন হয়, মনে আঘাত করলে কেমন হয়, অর্থের ওপর আঘাত করলে কেমন হয় এবং রাজনীতির প্রতিহিংসা একটা মানুষের ব্যক্তি পরিবার কিভাবে তছনছ করে দিতে পারে সেটা আমি যেভাবে বুঝি ডক্টর আলী রীয়াজ কিংবা তার মতো যারা রয়েছেন তারা অনুধাবন করা সম্ভব নয়। এটা কেবলমাত্র ভুক্তভোগী যারা তারা বুঝতে পারেন। ডক্টর আলী রীয়াজ যেভাবে এখানে দায়িত্ব পালন করছেন, তার মতো আরেকজন আমির বা আজিম কিংবা সুলতান তিনি হলেন ডক্টর বদিউল আলম মজুমদার। তাদের নেতৃত্বে আরো বেশ কয়েকজন আছেন। কিন্তু মূলত এখানে বদিউল আলম মজুমদার এবং আলী রীয়াজ সাহেব এই দুজনই মূল ফ্যাক্টর।

এখন তারা এই ঐকমত্য কমিশন করার চেষ্টা করছেন এবং এটা ইদানীংকালে যারা অংশগ্রহণ করছেন তারা প্রায় অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছেন। যেটা হবে এবং আমি বলেছিলাম, গণ্ডগোল হবে, মারামারি হবে, কাটাকাটি হবে। একাধিকবার আমি বলেছি এবং সেটা শুরু হয়ে গেছে। তারা এখন শব্দ বোমা এবং অঙ্গভঙ্গি দ্বারা ডক্টর বদিউল আলম মজুমদার এবং আলী সাহেবকে রিফিউজ করছে, ডিনাই করছে। এখানে যদি এই রাজনীতিবিদরা নিজেরা নিজেরা বিক্ষুব্দ হন অর্থাৎ এখানে জামাত-বিএনপির লোক অন্যান্য যারা আছে তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি করতে পারেন। এটা একেবারে স্বাভাবিক। আর সবচেয়ে বেশি ভয়ংকর হবে, এরা যদি ডক্টর বদিউল আলম মজুমদার এবং ডক্টর আলী রীয়াজ সাহেবের ওপর আক্রমণ করেন সেটা যে কত রকম বিশ্রি হবে এবং কত রকম ভয়ানক হবে; তারা যদি মনে করে এটা হবে না এটা একটা নির্বুদ্ধিতা।

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তেজগাঁও রেলস্টেশনে থেমে থাকা ট্রেনে আগুন দিয়ে পালানোর সময় আটক ২ Nov 13, 2025
img
কক্সবাজারে মার্কেটে ভয়াবহ আগুন Nov 13, 2025
img
এইচ-১বি ভিসা ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Nov 13, 2025
img
পেট্রল বোমাসহ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতা আটক Nov 13, 2025
img
কারওয়ান বাজারে ককটেল বিস্ফোরণ Nov 13, 2025
img
সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শিবিরের বিক্ষোভ Nov 13, 2025
img
৫ আগস্ট জন্ম না হলে জিয়া পরিবার মুক্ত হতো না: হাফিজ ইব্রাহিম Nov 13, 2025
img
সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগের মিছিলের প্রস্তুতিকালে আটক ৩ Nov 13, 2025
img
দেশ ও জাতীয় স্বার্থে জোটবদ্ধ নির্বাচনের পথও খোলা : আখতার Nov 13, 2025
img
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে গ্রেপ্তার ৪২ Nov 13, 2025
img
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন Nov 12, 2025
img
ময়নাতদন্তের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যুকালে গর্ভবতী ছিলেন মডেল খুশবু Nov 12, 2025
img
গান গেয়ে সমালোচনার মুখে অভিনেত্রী পরীমণি Nov 12, 2025
img
তেজগাঁওয়ে ট্রেনের বগিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা Nov 12, 2025
img
জামায়াতে ইসলামি কোনদিনও এই দেশের মঙ্গল চায়নি: ইকবাল হাসান টুকু Nov 12, 2025
img
'এখানেই স্বর্গ আছে, যা উপভোগ করতে হবে' Nov 12, 2025
img
সিলেটে বিটিসিএলের পরিত্যক্ত ২ টি গুদামে আগুন Nov 12, 2025
img
হামজার সঙ্গে খেলতে অধীর আগ্রহী নেপালি ফুটবলাররা Nov 12, 2025
img
শেখ হাসিনার আজীবন সদস্যপদ বাতিল করল ডাকসু Nov 12, 2025
img
এবার হীরাবেন মোদির চরিত্রে দেখা যাবে রাভিনা ট্যান্ডনকে Nov 12, 2025