ক্রিকেট থেকে অবসরের পর কোচিং পেশায় নাম লিখিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল৷ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বিপিএলে রংপুর রাইডার্সে কাজ করেন তিনি। এবার আসন্ন এনসিএলেও কোচ হিসেবে দেখা যাবে তাকে। বরিশাল বিভাগের কোচ হিসেবে কাজ করবেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান গণমাধ্যমকে বলেন, 'বরিশাল দলকে নিয়ে আমরা সত্যিই ভাবছি। আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমাদের সেরা ক্রিকেটারদের একজন, আশরাফুল। ওকে আমরা কোচ হিসেবে নিয়েছি। সে নিজেও ওই আগ্রহ দেখিয়েছে। সে বলেছে কোচ হতে চায়। যেহেতু সে বরিশালে দুই বছর খেলেছে, তাকে আমরা সেখানে কোচ হিসেবে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি।'
'তার সাথে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে…সেলিম আছে, রোকন আছে, আফতাব আছে ওদের সাথেও আমরা আলাপ আলোচনা করব। ওরা যদি ফ্রি থাকে, আগ্রহী থাকে…ছোট ছোট যে টুর্নামেন্টগুলো হচ্ছে, ন্যাশনাল লিগ হচ্ছে, এখানে ইনভলভ করব। ওদের থেকে আমাদের ক্রিকেটাররা উপকৃত হবে।'-যোগ করেন তিনি।
আঞ্চলিক ক্রিকেট নিয়ে আকরাম বলেন, 'এবার আমরা চট্টগ্রামে রিজিওনাল একটা টি-টোয়েন্টি করছি। যেটা আগস্টের ২৭ তারিখ শুরু হবে। আমার বিভাগে ১১টা জেলা আছে। ওরা খেলবে। দুই-তিনটা ভালো ক্রিকেটারও যদি পায়, ওই টুর্নামেন্ট থেকে, ওরা কিন্তু জাতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রামের হয়েও খেলতে পারবে। এটাও কিন্তু আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্টের প্ল্যান এবং সেই হিসেবে আমরা প্রথম রিজিওনাল টি-টোয়েন্টি করছি।'
বরিশাল বিভাগের ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে বলে শোনা যায় এ নিয়ে আকরাম বলেন, ‘আমরা নিজেরাও এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। কারণ অন্য কোনো ডিভিশনের দল নিয়ে এইরকম কথা-বার্তা হয় না। এরা ম্যানেজার নিয়ে খুশি না, কোচ নিয়ে খুশি না, অধিনায়ক নিয়ে খুশি না। খেলোয়াড়দের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এটা হওয়া উচিত না।'
'তো সেটা নিয়ে আমরা লম্বা সময় আলাপ করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এটা খুব গুরুত্ব সহকারে আমরা মনিটর করব। যদি দেখি যে খেলা নষ্ট হচ্ছে বা মানসম্মান খারাপ হচ্ছে তাহলে আমরা একশন নিব। আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যে আমরা প্রতিটা ডিভিশনের ম্যানেজারদের ডেকে আমরা জানিয়ে দেব এটি। পাশাপাশি তাদের গাইডলাইন দেব যাতে সবকিছু ঠিকঠাক থাকে। তারপরও যদি তারা নিজেদের কাজ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ভবিষ্যতে আর তাদের এ কাজ করতে দেব না আমরা।’
এমকে/টিকে