গণঅভ্যুত্থানে সশস্ত্রবাহিনী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের অবদানের স্বীকৃতি জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅভ্যুত্থানে অবদান রাখা অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর মেজর (অব.) ডা. ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মনিশ দেওয়ান, কর্নেল (অব.) মশিউজ্জামান, সামরিক কর্মকর্তা কামরুজ্জামান প্রমুখ।
বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, যখন রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব একীভূত হয়, তখনই মুক্তিযুদ্ধ বা গণঅভ্যুত্থানের সূচনা হয়। আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে বিবেকের দায় থেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণকে আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনারা রাজনৈতিক দাবিতে রাজপথে নামেন না কিন্তু সেদিন ডিওএইচএসগুলোতে সেই রীতির ব্যত্যয় ঘটিয়েছিল বলেই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেনাবাহিনী গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পেরেছিল। তাদের মাঠে নামার কারণেই গণঅভ্যুত্থান সহজ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের অন্তিম সময়ে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, মূলধারার কিছু মিডিয়া, সাহিত্যিক, কবি, শিল্পী ও সাংবাদিক জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল। তবে সেনাপ্রধানের বক্তব্য সেদিন জনগণের বিরুদ্ধে যায়নি। সেটাই সেদিন আমাদের মধ্যে আশার আলো সঞ্চারিত করেছিল।
সেনা কর্মকর্তা মনিশ দেওয়ান বলেন, সংগ্রাম এখনো শেষ হয়নি। জগদ্দল পাথরকে সরানো গেলেও তা সম্পূর্ণরূপে সরানো যায়নি। ফুটো বল দিয়ে খেলা চলে না।
লে. কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, দু’একজনের অপকর্মে পুরো বাহিনী কলুষিত হতে পারে না। জুলাইয়ের যুদ্ধ এখনো চলমান। সংস্কার দরকার মিডিয়া ও সশস্ত্র বাহিনী উভয় ক্ষেত্রেই। সংস্কারবিহীন নির্বাচন মানেই স্বৈরতন্ত্রের পুনর্বাসন।
মেজর (অব.) ডা. ওহাব মিনার বলেন, দেশ এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ছোটখাটো মতপার্থক্য ভুলে জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সঙ্গে সরকারের অবিলম্বে ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করা উচিত।
এমকে/টিকে