নাইম শেখের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সঙ্গে আফিফ হোসেন ও নুরুল হাসান সোহানের হাফ সেঞ্চুরিতে ১৬৮ রানের পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তার ৩২ বলে ৪৭ রানের ইনিংসেই বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্সকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ম্যাচ শেষে নাইমের প্রশংসা করেন দলটির কোচ মিজানুর রহমান বাবুল। নাইমকে সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার পরামর্শ দেন তিনি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই রান আউট হয়ে ফেরেন সাইফ হাসান। ডানহাতি ওপেনারের বিদায়ের পর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন নাইম ও মাহিদুল ইসলাম। পাওয়ার প্লেতে বেশিরভাগ রানই এসেছে নাইমের ব্যাট থেকে। পাওয়ার প্লে শেষের আগেই তাদের দুজনের জুটি ভাঙেন আহমেদ শরিফ।
ডানহাতি পেসারের বলে আইচ মোল্লার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৮ বলে ৪ রান করা অঙ্কন। একটু পর আউট হয়েছেন নাইমও। হাফ সেঞ্চুরির পথে থাকলেও সমান তিনটি করে চার ও ছক্কায় নাঈম আহমেদ সাকিবের বলে ফিরে যান তিনি।
এরপর বোলিংয়ে ম্যাচ জেতাতে বাকি কাজ সেরেছেন 'এ' দলের তিন স্পিনার মাহফুজুর রহমান রাব্বি, সাইফ হাসান ও রাকিবুল হাসান। তারা তিনজনে মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট। মাহফিজুল ইসলাম রবিনের ৪১ রানের ইনিংসের পরও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৩৩ রানে থামে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স।
ম্যাচ শেষে বাবুল বলেন, 'নাইম শেখ সাধারণত শটস খেলতে পছন্দ করে। সে যে ধরনের ক্রিকেট খেলে সে হয়তো স্লো উইকেটে এতোটা ভালো করতে পারে না। একজন ক্রিকেটার হিসেবে এটা তার মানিয়ে নিতে হবে। সে জাতীয় দলে খেলতে, সে অনেক অভিজ্ঞ, ভালো ক্রিকেটার হওয়ার কারণেই সে জাতীয় দলে খেলেছে। আজকে একটু সাবলীল খেলেছে।'
'হাসান মাহমুদ এখানে খেলছে জাতীয় দলের আত্মবিশ্বাসের জন্য, নাইম শেখ সম্প্রতি কিছু ম্যাচ জতীয় দলে খেলেছে। এই পারফরম্যান্সগুলো জাতীয় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সোহান জাতীয় দলের অনেক কাছে আছে। তার পারফরম্যান্সটাও আমাদের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শিরোপা জয়ের পাশাপাশি এটাও গুরুত্বপূর্ণ। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। সেভাবেই তাদের আত্মবিশ্বাস দেয়ার চেষ্টা করছি।'
এর আগের ম্যাচে বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্সকে পেস আগুনে পুড়িয়ে ১৩১ রানে আটকে দিয়েছিলেন মুশফিক হাসান, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরিরা। অথচ নাইম, সাইফ, আফিফ ও অঙ্কনের মতো ব্যাটার নিয়েও সেই রান তাড়া করতে পারেনি বাংলাদেশ টাইগার। সেই ম্যাচে ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মুশফিক হাসান।
মুশফিককে নিয়ে বাবুল বলেন, 'আমার দৃষ্টিতে মুশফিক আমাদের ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার। আমাদের এরকম সুঠামদেহী পেস বোলার আমাদের কম আছে। তার বোলিং স্কিল খুবই ভালো। তবে সে খুবই ইনজুরিপ্রবণ। আমরা এটা খুব কাছ থেকে দেখভাল করছি। সে রিহ্যাবের পর এখানে এসেছে। আমি তাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। আমার কাছে মনে হয়েছে সুপার ফিট।'
পিএ/টিকে