প্রতারণার মাধ্যমে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্টের তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন— প্রতিষ্ঠানটির হেড অফ ফিন্যান্স মো. সাকিব হোসেন, চীফ কমার্শিয়াল অফিসার সাইদ আহমেদ ও চীফ অপারেটিং অফিসার এ.কে.এম সাদাত।
এদিন তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মতিঝিল থানার উপ পরিদর্শক মো. সাদ্দাম হোসেন তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার সরকার ট্যুরস এন্ড ট্রাভেলস প্রোপাইটার মো. বিপুল সরকার বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। এতে ফ্লাইট এক্সপার্টের সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম, মক্কা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ শাহ সম্রাট, মো. সাকিব হোসেন, সাইদ আহমেদ ও এ.কে.এম সাদাত হোসেনকে আসামি করা। তাদের বিরুদ্ধে ১৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে চার কোটি ৭৯ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে৷
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা অনলাইনে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ী হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত ক্লায়েন্টদের বিমান টিকিট, হোটেল বুকিং, প্যাকেজ ট্যুরস, হজ্জ্ব ও ওমরাহ প্রদানের ব্যবসা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় হাজার হাজার এজেন্সি ও লক্ষাধিক গ্রাহক সেবার জন্য আর্থিক লেনদেন করে ব্যবসা পরিচালনা করছিল।
গত ২ আগস্ট সকাল থেকে আসামিদের অনলাইন সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়। এজন্য এজেন্সির মালিকরাসহ ব্যক্তিগত লেনদেনকারীরা তাদের অফিসে উপস্থিত হন। তারা এসে দেখেন, মতিঝিল থানাধীন সিটি সেন্টারস্থ সকল ফ্লোরের অফিস খোলা থাকলেও ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ অনুপস্থিত থাকায় কর্মচারীরা কোনো প্রকার সেবা প্রদান করতে পারছিল না। পরে তারা জানতে পারেন, আসামি ফ্লাইট এক্সপার্টের সালমান বিন রশিদ শাহ সায়েম ও মক্কা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ রশিদ শাহ সম্রাট ৫-৬ হাজার কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করে বিদেশ পালিয়েছেন।
ফ্লাইট এক্সপার্ট তাদের নিজস্ব আইএটিএ এর বাইরে কতিপয় ট্রাভেলস এজেন্সির আইএটিএ ব্যবহার করে টিকিট বিক্রয় করত।
যেমন-হাজী ইয়ার ট্রাভেলস লি., সোমা ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিস, প্রোমা ইত্যাদি।
এসএন