একটা বছর কেটে যাচ্ছে, তবুও সামাজিক মাধ্যমে এখনও দাপট কাটেনি ‘স্ত্রী ২’ সিনেমার হিট গান ‘আজ কি রাত’। গানের চেয়েও বেশি আলোচনায় তামান্না ভাটিয়ার নাচ। সবুজ পোশাকে তাঁর শরীরী বিভঙ্গ, সাবলীল মুভমেন্ট আর আত্মবিশ্বাসী উপস্থিতি অনুরাগীদের মুগ্ধ করলেও, একাংশ নেটাগরিক সেখানে খুঁজে পেয়েছিলেন ট্রোলের উপাদান।
আইটেম গানে নাচলে সাধারণত অভিনেত্রীর চিকন ও টানটান শরীর নিয়ে প্রশংসা হয়। সেখানে তমন্না একদম ব্যতিক্রম! কোনও চিকন কোমর দেখাতে হয়নি তাঁকে। সামান্য পৃথুল চেহারায়ও তিনি নেচেছেন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে। এই ব্যতিক্রমী উপস্থিতিতেই তিনি হয়েছেন প্রশংসিত। শুধু অনুরাগীই নয়, অনেক মহিলার কাছেও হয়ে উঠেছেন অনুপ্রেরণা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন তমন্না। জানিয়েছেন, “‘আজ কি রাত’ প্রকাশের পরে আমাকে ‘বডি পজিটিভিটি’র জন্য অনেকেই কুর্নিশ জানিয়েছেন। দাবি ছিল, আমার চেহারা খুবই আকর্ষণীয় ছিল। যদিও আমার তো মনে হয়েছিল আমি তখন বেশ ছিপছিপেই ছিলাম।”
তাঁর আরও মন্তব্য, “‘আজ কি রাত’ আর ‘কাভালা’— এই দুই গানে অনেকেই ভেবেছিলেন আমি ভারী চেহারার। তবে একজন মহিলা এক পার্টিতে এসে আমাকে বলেছিলেন, আমি মেদহীন ছিলাম না বলেই বহু মহিলা নিজেদের শরীর নিয়ে সাহস পেয়েছিলেন। নিজেকেও ‘মোটা’ বলে বলেছিলেন সেই মহিলা। যদিও আমি নিজেকে তখন মোটেই মোটা মনে করিনি। তবে বুঝেছিলাম মানুষ আমাকে কীভাবে দেখেছিল।”
তামান্নার নাচে শুধু বড়রা নন, মুগ্ধ শিশুরাও! এক মা এসে তাঁকে জানিয়েছিলেন, এই গানের ভিডিও চালিয়ে তিনি তাঁর সন্তানকে খাওয়াতে পেরেছেন। অভিনেত্রীর কথায়, “ডায়পার পরা বাচ্চারাও এই গানে নেচেছে।”
তামান্নার এই উজ্জ্বল উপস্থিতি শুধু শরীরী বিভঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তা আত্মবিশ্বাস, সাহস আর নিজের প্রতি ভালবাসারও উদাহরণ। আর সে কারণেই হয়তো ‘আজ কি রাত’ শুধু একটা গান নয়— অনেকের জীবনে একটা অনুপ্রেরণাও হয়ে উঠেছে।
এসএন