শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি ও প্রক্টর এড়াতে পারেন না: নাছির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ইসলামী ছাত্রশিবিরের স্বাধীনতাবিরোধী কর্মসূচিকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি বলেছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পবিত্র মাটি থেকেই বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীজ রোপিত হয়েছিল। 

এই বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম খচিত হয়েছিল বাংলাদেশের মানচিত্রসংবলিত পতাকা। অথচ আজ টিএসসিতে শিবির যুদ্ধাপরাধী নিজামী, মুজাহিদ, গোলাম আযমসহ আত্মস্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের ছবি টানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার ওপর সরাসরি আঘাত করেছে।

আজ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছির বলেন, “ইসলামী ছাত্রশিবির একাত্তরের ঘৃণ্য রাজাকার বাহিনী ছাত্রসংঘ ও আলবদরের উত্তরসূরী। অতীতে তারা একজন আলবদর কমান্ডারকে ডাকসুতে ভিপি পদে প্রার্থী করেছিল। এমনকি তাদের দলীয় প্রকাশনাতেও স্বাধীনতাবিরোধী অবস্থান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে। 

তিনি অভিযোগ করেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশেষ করে ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রক্টর শিবিরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। প্রশাসনের মদদেই তারা টিএসসিতে এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছে এবং দেশের আপামর জনগণের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। এই আয়োজনের দায় প্রশাসন, ভিসি ও প্রক্টর কেউই এড়াতে পারেন না।”

নাছির আরও বলেন, “তোফাজ্জল ও সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছাসহ একাধিক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা প্রকাশ পেয়েছে। বরং মব এবং গুপ্ত সংগঠনগুলোর প্রতি এক ধরনের নীরব পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। এতে শিক্ষার্থীরা হতাশ এবং বিক্ষুব্ধ।”

সবশেষে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সংগঠনের কর্মসূচির জন্য প্রক্টরের অনুমতি নিতে হয়। অনুমতি দেওয়ার আগে তিনি কর্মসূচির বিষয়বস্তু যাচাই করে থাকেন। তাই আজকের ঘটনার দায় প্রক্টরের ঘাড়েই বর্তায়। এই আয়োজন তার অনুমতি, সম্মতি ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া সম্ভব ছিল না। প্রক্টরকে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।”

ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
আজকের দিনে বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ডলারসহ বিভিন্ন মুদ্রার দর Oct 04, 2025
img
বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে ডলারসহ বিভিন্ন মুদ্রার আজকের দর Oct 04, 2025
img
৭ ইনিংস পর অবশেষে ছক্কা হাঁকালেন জাকের Oct 04, 2025
img
ঢাকায় আজ হালকা বৃষ্টির আভাস Oct 04, 2025
img
দেশে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Oct 04, 2025
img

জালাল উদ্দিন

বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না Oct 04, 2025
img
চমক রেখে দল ঘোষণা আর্জেন্টিনার, দলে নতুন ৩ মুখ Oct 04, 2025
img
লক্ষ্মীপুরে এক ইলিশ বিক্রি হলো ১০ হাজারে Oct 04, 2025
img
বিভাগের দাবিতে উত্তাল নোয়াখালী, নগরে ব্লকেড Oct 04, 2025
img
ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান Oct 04, 2025
img
বাগদান সারলেন রাশ্মিকা মান্দানা ও বিজয় দেবেরাকোন্ডা Oct 04, 2025
img
আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র চাকমা Oct 04, 2025
img
গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল Oct 04, 2025
img
ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার: সাইফুল হক Oct 04, 2025
img
শাপলা না পেলে বেগুন-বালতি নিয়ে আন্দোলনের হুঁমকি এনসিপির Oct 04, 2025
পিআর নিয়ে দরকষাকষির মধ্যেই ৩০০ আসনে প্রার্থী দিলো জামায়াত Oct 04, 2025
ধানমন্ডির মসজিদে নবীর ঘর! চলছে প্রদর্শনী! Oct 04, 2025
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ‘সিঁদুরে মেঘ’: দুলু Oct 04, 2025
img
অন্যের ওপর দায় চাপানো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যাস : ভারত Oct 04, 2025
সমঝোতা হলে ১০০ আসন ছেড়ে দিতে পারে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার Oct 04, 2025