যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কার্যকর: রুলস অব অরিজিনের অজানা দিক

যুক্তরােষ্ট্রর রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) থেকেই কার্যকর হয়েছে। এখন দেশটিতে পণ্য পাঠালেই দিতে হবে বর্ধিত শুল্ক। বাংলাদেশের জন্য বাড়তি শুল্কহার নির্ধারণ হয়েছে ২০ শতাংশ। সঙ্গে যোগ হবে আগের সাড়ে ১৬ শতাংশ।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখনও চুক্তি হয়নি। কী কী শর্তে পণ্য রফতানি করতে হবে— তা এখনও অস্পষ্ট। বিশ্লেষকরা জানান, রুলস অব অরিজিন নীতি কেমন হবে তা আগে থেকেই খোলাসা করা দরকার।

গত এপ্রিলেই বাংলাদেশের জন্য ধার্য করা হয় ৩৭ শতাংশ শুল্ক। জুলাইতে তা কমিয়ে নির্ধারণ হয় ৩৫ শতাংশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারণ হয় ২০ শতাংশ।

স্বস্তির জায়গা হচ্ছে প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্কহার প্রায় সমান। তবে প্রধান প্রতিযোগী ভারতের শুল্ক দুই দফায় বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বাংলাদেশের চেয়ে যা ৩০ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ৪০ শতাংশ ভ্যালিডেশন ক্রাইটেরিয়ার সাথে একটু প্রফিট মার্জিনটা যোগ করতে মিনিমাম ৫ শতাংশ, তাতে হয়তো বেশি গুডস আমদানি করতে পারবো না অন্য দেশ থেকে। তাতে আমরা খুব বেশি সমস্যায় পরবো না। কিছু কিছু খাত কিছুটা সমস্যায় পড়তে পারে অল্প; যেমন ওভেন, নন-লেদার শো আছে, এই খাতগুলো কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। এক্সটা ডিউটি এটা অবশ্যই ক্রেতাদের বহন করতে হবে এবং সবচেয়ে বড় কথা আমরা এমন কোনও পার্সেন্টেজ প্রফিট করি না যেটা আমরা আসলে আমাদের কাজে নিতে পারবো।

কোন দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি সুবিধা পেলো, কে কী ছাড় দিয়েছে, আবার ছাড়ের ক্ষেত্রে শর্ত কী আছে, এমন নানাবিধ আলোচনা এখন তুঙ্গে। এটি বলাই যায়, নতুন শুল্ক ব্যবস্থায় শুরু হলো বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধ।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, একজন ক্রেতার সঙ্গে যখন দর কষাকষি করতে যাবেন, তারা যদি না জানে যে এই পণ্যটা যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে গিয়ে যখন পৌঁছাবে তখন তাদের আমদানি পলিসির সাথে কমপ্লায়েন্ট কি না সেটা বুঝবো কীভাবে? সেটা না বুঝলে আমি তো অন্য পণ্যটা পাঠিয়ে একটা ঝুঁকি নিচ্ছি। কারণ ওটা বন্দরে গিয়ে যদি দেখা যায় যে রুলস অব অরিজিনের রিকোয়ারমেন্ট মিলছে না। তখন তো ওটা আটকে যাবে।

টিকে থাকতে হলে বাড়াতে হবে নিজেদের সক্ষমতা। পণ্য ও দেশের বৈচিত্রকরণ না হলে বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকা কঠিন।

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
তেলুগু চলচ্চিত্রের প্রিয় সুপারস্টার মহেশ বাবুর আজ ৫০তম জন্মদিন Aug 09, 2025
img
রিয়ালের আইকনিক ‘৯ নম্বর’ জার্সি পরবেন ব্রাজিলিয়ান এনদ্রিক Aug 09, 2025
img
আমরা আগামী নির্বাচনে কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করব না : সিইসি Aug 09, 2025
img
রাশিয়াসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে স্বাভাবিক ও বৈধ জ্বালানি সহযোগিতা চালিয়ে যাবে চীন Aug 09, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকারের ৮ উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রমাণ আছে : সাবেক সচিব Aug 09, 2025
img
সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আসামি স্বাধীন: র‌্যাব Aug 09, 2025
img
সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির পূর্বাভাস Aug 09, 2025
img
রাজধানীতে বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম Aug 09, 2025
img
বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ২ ভাইয়ের, আহত ৩ Aug 09, 2025
img
শ্বেতশুভ্র পোশাকে আর সাবেকি গয়নায় নজর কাড়লেন নুসরাত ফারিয়া! Aug 09, 2025
img
১৩ ঘণ্টা পর পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক Aug 09, 2025
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সামরিক পুনরুত্থানে জার্মানির নতুন দিগন্ত Aug 09, 2025
img
১৫ আগস্ট ৩২ নম্বরে যাওয়ার কথা বলা সঠিক নয়: জেড আই খান পান্না Aug 09, 2025
জাপানের সর্বকালের বয়স্ক মানুষ শিগেকো কাগাওয়ার গোপন রহস্য Aug 09, 2025
দেশে ফিরতে চান গরম পানি ছিটানোর পরামর্শদাতা অরুণা বিশ্বাস Aug 09, 2025
img
পর্দায় আসছে জাহের ও সামান্থার ‘ফাঁকা আওয়াজ’ Aug 09, 2025
img
সরকারি জমি দখলে করে সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন এমপি ইলিয়াস Aug 09, 2025
img
এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে আবারও মাঠে ফিরছেন পেসার বর্ষণ Aug 09, 2025
img
সিএমপি কমিশনারের নামে ফেসবুকে ভুয়া অ্যাকাউন্ট, সতর্ক করলো পুলিশ Aug 09, 2025
img
নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলে আইনশৃঙ্খলা অবস্থার উন্নতি হবে: সিইসি Aug 09, 2025