৩৮ বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৬ রান, ২৪ বলে মোহাম্মদ নাওয়াজের ৫। এটুকু দেখে ম্যাচটাকে টেস্ট ভেবে ভুল করাই স্বাভাবিক। টেস্টে তো এমন স্ট্রাইকরেটেই ব্যাট করতে দেখা যায়। ম্যাচটি আসলে ওয়ানডে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের বিপক্ষে ধুঁকেছেন আবদুল্লাহ শফিক ও সালমান আগাও।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে আগা ১৮ বলে ৯ ও শফিক ৪০ বলে ২৬ রান করেন। তাতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৩৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচটিতে ৭ উইকেটে ১৭১ রান করে পাকিস্তান। বৃষ্টি হানা দেয় স্বাগতিকদের ইনিংসেও, ফলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে আরও দুই ওভার, আর লক্ষ্য বেড়ে দাঁড়ায় ১৮১।
এই লক্ষ্য ১০ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় ওয়েষ্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রায় ৬ বছর পর পাওয়া তাদের ওয়ানডে জয়টি ৫ উইকেটে। ক্যারিবীয়রা জেতায় সমতা আসল ৩ ম্যাচের সিরিজে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছিল ৫ উইকেটে। অর্থাৎ ১২ আগস্ট তৃতীয় ম্যাচটি পরিণত হলো অঘোষিত ফাইনালে।
রান তাড়ায় টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে পঞ্চাশের আগেই হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরমধ্যে আবরার আহমেদের দারুণ এক গুগলিতে বোল্ড হওয়া ক্যাসি কার্টি ৪২ বলে করেন ১৬ রান। টপঅর্ডার বিপর্যয় হলেও মিডলঅর্ডার দাঁড়িয়ে যায়। শাই হোপ ৩২ রান করে স্টাম্পিং হলে দুটি ভালো ইনিংস খেলেন শেরফার্ন রাদারফোর্ড ও রোস্টন চেজ।
৩৩ বলে রাদারফোর্ড ৪৫ রান করে নাওয়াজের শিকার হলে চেজ ও জাস্টিন গ্রিভসের ব্যাটে ম্যাচ শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চেজ শেষ পর্যন্ত ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন, গ্রিভস অপরাজিত থাকেন ২৬ রানে।
পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলী ও নেওয়াজ নেন ২টি করে উইকেট। এক উইকেট পান আবরার আহমেদ।
পাকিস্তান ১৭১ রান করেছিল হাসান নাওয়াজের ৩৬, হুসাইন তালাতের ৩১ ও সাইম আয়ুবের ২৩ রানে ভর করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জায়দেন সিলস নেন ৩টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান জেদিয়া ব্লেডস, শামার জোসেফ, গুদাকেশ মতি ও রোস্টন চেজ।
এমকে/টিকে