তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় তারকা দম্পতি সালমান আরাফাত ও সালহা খানম নাদিয়া। গত বছর তারা বিয়ে করেছেন। বর্তমানে সংসার আর অভিনয় পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
তবে এই জুটির প্রেমে পড়ার গল্পাটা একেবারেই অন্য রকম। সম্প্রতি সেই গল্পই তারা শেয়ার করেছেন এক সাক্ষাৎকারে।
নাদিয়া বলেন, ‘আমাদের পরিচয় শোবিজে কাজের সূত্রেই। পরপর কিছু কাজ একসঙ্গে করার পর আমরা বন্ধু হয়ে যাই। একটা পর্যায়ে আমাদের দুই পরিবারের মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। আমাদের দুজনের আম্মুর মধ্যেও বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। কিন্তু কখনো ভাবিনি সালমানকেই বিয়ে করব বা তার সঙ্গে প্রেম হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালাই যে মানুষের জীবনসঙ্গী নির্ধারণ করে দেন তা সালমানের সঙ্গে বিয়ের মাধ্যমে আমি আরও বেশি অনুধাবন করেছি। কারণ আমার একটি ক্রাইসিস পিরিয়ডে সালমান যেভাবে টেক কেয়ার করেছিল সেটা দেখার পরই তার উপর আমার আস্থা অনেকগুণ বেড়ে যায়। তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেলে মন্দ হবে না এটা ভাবতে শুরু করি।’
আর সেই ঘটনাটি বললেন সালমান, ‘আমার আম্মুর চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যাচ্ছিলাম। নাদিয়াও তার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য ভালো চিকিৎসা করাতে চাচ্ছিল। ভাবলাম একসঙ্গে সবাই যাই। আমার, নাদিয়ার আর আমাদের আম্মুদের ভিসা করতে দিই। কিন্তু নাদিয়ার আম্মুর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই পরিকল্পনা করি আমার আম্মু তো আছেই, তিনজন একসঙ্গে যাব। ওখানে গিয়ে নাদিয়ার দ্রুত অপারেশন করার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিকে আমার আম্মুর পেশাগত কাজে দেশে ফিরতেই হবে। নাদিয়ার অপারেশনের সময় আম্মু ছিলেন। কিন্তু সেরে উঠতে তার যে কয়দিন হাসপাতালে থাকতে হবে সে কয়দিন তিনি আর থাকতে পারেননি। ওকে একা রেখে আসার তো কোন প্রশ্নই আসে না, তাই আমিই থেকে যাই।’
নাদিয়া বলেন, ‘ওই সময়টায় সে আমার সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছিল। খাবার-দাবার, ওষুধপত্র জোগাড়, কাপড় পরিষ্কারসহ যাবতীয় কাজ সে করত। যেভাবে আমার যত্ন করেছিল, তাতেই আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। সেখান থেকেই আমাদের প্রেম শুরু, তার অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই বিয়ে হয়।’
টিকে/