অচিরেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে মন্তব্য করেছেন তার ব্যক্তিগত আইন বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এ কে এম কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, তারেক রহমান ক্ষমতায় গেলে এবং প্রধানমন্ত্রী হলে অবহেলিত সব মানুষের জন্য কাজ করবেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া এলাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় নির্ধারণ হয়েছে, তার আগেই তিনি দেশে ফিরবেন।
এর আগে তিনি ওই এলাকার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে কথা বলেন ও গণসংযোগ করেন।
পরে তিনি রাত ৮টার দিকে পার্বতীপুর ৯নং হামিপুর ইউনিয়নের ধুলাউদাল বালিকা মাদরাসা মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তিনি বলেন, তারেক রহমানের অঙ্গীকার একটি মানবিক বৈষম্যহীন সমাজ গঠন করা। যে সমাজে কোনো নৈরাজ্য থাকবে না।
যে সমাজে আইনের শাসন থাকবে, মানুষের চাকরি হবে, শিক্ষার উন্নয়ন হবে, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন হবে, সমাজে বিশৃঙ্খলা দূর হবে, হানাহানি দূর হবে, একটি গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েম হবে। এটা তারেক রহমানের অঙ্গীকার।
তিনি বিভিন্ন বক্তৃতার মধ্যে এই অঙ্গীকারের কথাগুলো বলেছেন, ৩১ দফায় বিভিন্নভাবে এই কথাগুলো বলা হয়েছে। কিভাবে শিক্ষার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যের উন্নয়ন করা হবে, গ্রামের উন্নয়ন করা হবে, কৃষকের উন্নয়ন করা হবে, নারীদের কিভাবে উন্নয়ন করা হবে।
তিনি আরেকটি কথা বলেছেন বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন মানে কৃষকের উন্নয়ন। যদি এ দেশকে উন্নয়ন করতে হয় তাহলে কৃষির উন্নয়ন করতে হবে। ৩১ দফায় বিভিন্নভাবে এ কথাগুলো বলা হয়েছে। মূল কথা হলো বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ গঠন করাই হলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মূল লক্ষ্য।
যেটা পতিত সরকারের আমলে সব ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এটাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ তাই জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া তারেক রহমানের ইচ্ছা।
এ সময় পার্বতীপুর উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পিএ/টিএ