পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এখন পর্যন্ত ১৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দেশটির কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে জিও নিউজ।
প্রতিবেদন মতে, অধিকাংশ মৃত্যুই ঘটেছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। এই অঞ্চলে অন্তত ১৮০ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
আরও অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে আজাদ কাশ্মীরে। এখানকার পরিস্থিতি খুব নাজুক। ফলে মৃত্যু আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে ১৫৮ জন পুরুষ, ১৯ জন নারী ও ১৭ জন শিশু। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাড়িঘর ধসে পড়া এবং বন্যার পানির তীব্র স্রোতে মানুষ ভেসে যাওয়ার কারণে এই প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রাণহানির পাশাপাশি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। অন্তত ১১৬টি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ায় ৩৪টি আংশিক ও ১৪টি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। গিলগিট বাল্টিস্তানে ১৪টি আংশিক ও ৩টি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া আজাদ কাশ্মীরে ২৩টি আংশিক ও ২৮টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
বেশ কিছু বাড়িঘর ভেসে গেছে। পাশাপাশি একাধিক এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উদ্ধারকারী দলগুলো আকাশপথে, পায়ে হেঁটে এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ব্যবহার করে বন্যা কবলিত এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।
এর মধ্যে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে যাওয়ার পথে একটি হেলিকপ্টার খারাপ আবহাওয়ার কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে। তাতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন।
এমআর/টিকে