অভ্যন্তরীণ থেকে আন্তর্জাতিক রূপ পাচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। আগামী ২ অক্টোবর থেকে সমুদ্রের বুক ছুঁয়ে ওঠানামা করবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। তবে রানওয়ে প্রস্তুত থাকলেও বিমানবন্দরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ এখনো বাকি, যা নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করতে চলছে জোর প্রস্তুতি।
কক্সবাজার বিমানবন্দর-যেখানে সমুদ্রের বুক ছুঁয়ে এবার উড়বে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে রানওয়েতে যোগ হয়েছে অতিরিক্ত ১ হাজার ৭০০ ফুট, পুরোটা সমুদ্রের ওপর নির্মিত। ফলে এখন রানওয়ের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৭০০ ফুট, যা দেশের দীর্ঘতম।
কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এম. মোশাররফ হোসেন জানান, বর্ধিত অংশের রানওয়ের পেইন্টিংয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমার আগেই এ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
তবে টার্মিনাল ভবনের কাজ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি। যাত্রী অভ্যর্থনা, ইমিগ্রেশন, কনভেয়ার বেল্টসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। যা নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করতে দিনরাত ব্যস্ত শ্রমিক ও প্রকৌশলীরা।
কক্সবাজার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মঈনুদ্দিন জানান, পুরো কাজ শেষ করতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তবে যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করার চেষ্টা চলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর কক্সবাজারের পর্যটন ও অর্থনীতিতে আনবে বিপ্লব। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সর্বোচ্চ মাত্রায়। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফীস ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, বিমানবন্দরের অপারেশন কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হয়েছে। তবে শুধু বিমানবন্দর নয়, ইনানি ও টেকনাফসহ পুরো কক্সবাজারেই ট্যুরিস্টদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, দ্রুত উদ্বোধন জরুরি। একইসঙ্গে কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ও বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। ফলে কক্সবাজারের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে।
২০২১ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপ নিচ্ছে কক্সবাজার। আকাশপথে আন্তর্জাতিক সংযোগ স্থাপিত হলে এ জনপদে খুলে যাবে অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন দুয়ার।
কেএস/টিকে