ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম। ব্যবসায়ীদের মতে, পেঁয়াজের সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম আরো কমতে পারে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভারত থেকে একটি পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের সূচনা হয়।
ট্রাকটিতে প্রায় ৩০ টন পেঁয়াজ ছিল। প্রথম চালানটি আমদানি করেছে মেসার্স জগদীশ চন্দ্র রায় নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়েও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদাানি শুরু হয়েছে। রবিবার বিকেলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রেবতী কুমার বিশ্বাসের অয়ন ট্রেডার্স দুই ট্রাক ভর্তি ৫০ টন পেঁয়াজ আমদানি করে।
এ ছাড়া পেঁয়াজভর্তি ১৪টি ট্রাক ভারতের ঘোজাডাঙা বন্দরে অপেক্ষায় রয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে এসেছে ৭৭৯ টন পেঁয়াজ। রবিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৭টি ট্রাকে এসব পেঁয়াজ আনা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার চারটি ট্রাকে ১০০ টন পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আনা হয়।
আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার আমদানির অনুমতি দিয়েছে। আমদানির গতি অব্যাহত থাকলে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
মাসুম হোসেন নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘দিন দিন সব কিছুর দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা বিপাকে পড়ে যাই। এতে ক্রয় করতে সমস্যা হচ্ছিল।
দুই দিন আগে পেঁয়াজ কেজিতে ৭৫ টাকা করে কিনলেও আজ ৬৫ টাকায় কিনেছি। পেঁয়াজের দাম আরো কমলে আমাদের সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ভালো হবে।’
পেঁয়াজ বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, ‘ভারত থেকে আমদানি খবরে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। দুই দিন আগে পাইকারিতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা দরে। আজ তা কমে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা দরে। কমেছে কেজিতে ১০-১৫ টাকা। আমরা কম দামে কিনলে কমে বিক্রি করব।’ ভারত থেকে পেঁয়াজ প্রচুর আমদানি হলে দাম আরো কমবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
এফপি/ এসএন