প্রিমিয়ার লিগ আর থাকছে না ‘রেইনবো লেসেস’ উদ্যোগে। দীর্ঘ এক দশকের অংশীদারিত্বের পর এলজিবিটিকিউ সংগঠন স্টোনওয়ালের সঙ্গে পথচলা শেষ করল ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগ। ২০১৪ সালে এই যাত্রা শুরু হয়েছিল বৈষম্যহীন ফুটবল সংস্কৃতি গড়ার প্রত্যয়ে। তবে চলতি মৌসুম থেকে নিজেদের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রচারণা শুরু করবে লিগ কর্তৃপক্ষ।
প্রিমিয়ার লিগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৈষম্যকে কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না এবং এ বিষয়ে ক্লাবগুলোকে শিক্ষা কার্যক্রম ও রিসোর্স দিয়ে সহযোগিতা করা অব্যাহত থাকবে। স্টোনওয়ালের ভাষ্য, ক্রীড়াজগত ও সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের উদ্যোগেও স্বাভাবিক ওঠানামা ঘটে, আর নারীদের সুপার লিগ ও এফএ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈষম্য বিরোধী প্রচারণাকে আরও বহুমুখী দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
২০১৩ সালে শুরু হওয়া রেইনবো লেসেস প্রচারণায় শুরু থেকেই যুক্ত ছিল প্রিমিয়ার লিগ। খেলোয়াড়রা রঙিন ফিতা পরতেন, অধিনায়করা রেইনবো আর্মব্যান্ড ব্যবহার করতেন-যা ছিল বৈচিত্র্য, সমতা ও এলজিবিটিকিউ অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতীক। তবে বিতর্কও ছিল। গত মৌসুমে ইপ্সউইচ অধিনায়ক স্যাম মরসি ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে আর্মব্যান্ড পরেননি। ক্রিস্টাল প্যালেসের মার্ক গেহি আর্মব্যান্ডে লিখেছিলেন ‘আই লাভ জিসাস’। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও শেষ মুহূর্তে এলজিবিটিকিউ সমর্থনসূচক জ্যাকেট ব্যবহার থেকে সরে আসে।
অন্যদিকে, বর্ণবাদবিরোধী প্রচারণা ‘নো রুম ফর রেসিজম’-এর অংশ হিসেবে নতুন মৌসুমেও হাঁটু গেড়ে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খেলোয়াড়রা। তবে আগের মতো প্রতিটি ম্যাচে নয়, কেবল অক্টোবরের ব্ল্যাক হিস্ট্রি মান্থে দুইটি ম্যাচে এই প্রতীকী প্রতিবাদ করা হবে।
স্টোনওয়ালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা নতুন কিছু নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বহু নামী প্রতিষ্ঠানই সংগঠনটির সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা শেষ করেছে। ২০২১ সালে বিবিসিও স্টোনওয়ালের কর্মক্ষেত্র সমতা প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ায়। সব মিলিয়ে, প্রিমিয়ার লিগের এই সিদ্ধান্ত ইংলিশ ফুটবলে বৈষম্য বিরোধী লড়াইয়ের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।
টিকে/