বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ’২৪-এর ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে ‘মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়’ মন্তব্যকে ইতিহাস বিকৃতির একটি নিকৃষ্ট প্রয়াসই বরং ছাত্র-জনতার আত্মোৎসর্গী সংগ্রাম ও বিজয়কে অবমাননার অপচেষ্টা আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়। একই সঙ্গে সংগঠনটি অবিলম্বে এই মন্তব্যের জন্য ফজলুর রহমানকে দেশের বিপ্লবী ছাত্র-জনতার কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এ নেতা জানান, ২৪-এর অভ্যুত্থান কোনোভাবেই মুক্তিযুদ্ধের পরাজয় নয়, বরং মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত কাজকে পূর্ণতা দেওয়ার সংগ্রাম। ’৭১-এ পাকিস্তানি সামরিক জান্তার পতনের মধ্য দিয়ে অর্জিত স্বাধীনতার ধারাবাহিকতায় ’২৪-এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দীর্ঘকাল ধরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। অতএব, ’৭১ এবং ’২৪ কোনোভাবেই পরস্পরবিরোধী নয়, বরং একই মুক্তির ধারা, একই সংগ্রামের ভিন্ন অধ্যায়। এই ধারার মধ্যে রয়েছে ’৪৭-এর ভূখণ্ড প্রাপ্তি, ’৭১-এর স্বাধীনতা এবং ’২৪-এর মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার বিজয়।
তিনি বলেন, ২৪-এর অভ্যুত্থানকে খাটো করার যেকোনো প্রয়াস জনগণের সংগ্রামের প্রতি চরম অবমাননা এবং মুক্তিকামী চেতনার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। সংগঠনটির মতে, এ ধরনের রাজনীতি কেবল জনগণের বিজয়কে অস্বীকারই করে না; বরং ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থাকে পুনরায় প্রাসঙ্গিক করার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের ছাত্র-জনতা কখনোই এই অপরাজনীতি মেনে নেবে না। প্রয়োজনে, সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। কারণ, মুক্তির ইতিহাস বিকৃতির প্রতিটি চেষ্টাই ব্যর্থ হবে। ইতিহাসের স্রোত সর্বদাই মুক্তিকামী শক্তির বিজয়ের দিকে প্রবাহিত হয়।
ইউটি/টিএ