রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ‘শেয়ার অ্যান্ড কেয়ার’ নামে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল বিসিবি। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। বুধবার (২০ আগস্ট) ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটারদের ট্রায়ালে অতিথি হয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন মুশফিক, আর সেখানে প্রশ্নও হলো সেই বৈঠক নিয়ে।
মঙ্গলবার বিসিবির সেই বৈঠক শেষে এ নিয়ে কথা বলেননি কোনো ক্রিকেটারই। আজ সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুশফিক বললেন, ভালো উদ্যোগ। তিনি এ-ও বলেছেন, বাস্তবায়ন না হলে এসব বৈঠক ফলপ্রসূ হবে না।
মুশফিক বলেন, ‘বাস্তবায়ন যতদিন না হবে, এসব বৈঠক ফলপ্রসূ হবে না। আমার তো ক্যারিয়ার প্রায় শেষ দিকে, আশা করব প্রজন্মের জন্য এ রকম পরিবেশ যেন দিতে পারি; যাতে তারা নিয়মিত সব জায়গায় গিয়ে খেলতে পারে। ও রকম মাঠ যেন করে দিয়ে যেতে পারি, অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি।’
বৈশ্বিক ক্রিকেট বর্তমানে অনেক এগিয়ে, সে তুলনায় বাংলাদেশ অনেকটা পিছিয়ে আছে। এ নিয়ে মুশফিক বলেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেট যত দূর এগিয়ে গেছে, বাংলাদেশ তাদের থেকে অনেক পিছিয়ে। এদিক থেকে যদি আমরা সেই সাপোর্টটা দিতে পারি, তাহলে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।’
জানা গেছে, বিসিবির বৈঠকে ঘরোয়া ঘরোয়া ক্রিকেটের সুযোগ-সুবিধাকেও সামনে এনেছেন ক্রিকেটাররা। বিশেষ করে উইকেটের কথা সামনে এনেছেন তারা।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি। এরপর শুরু হবে জাতীয় লিগের চার দিনের আসরও। মুশফিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এই টুর্নামেন্টে তিনি খেলবেন কি না।
মুশফিক বলেন, ‘যদি কোনো দল নেয়, জাতীয় লিগে খেলার ইচ্ছা আছে। শারীরিক ও মানসিকভাবে সব দিক দিয়ে চেষ্টা করছি, এখন দেখা যাক।’
সংবাদমাধ্যমে আলাপকালে ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পক্ষে কথা বলেছেন মুশফিক। তিনি এ-ও বলেছেন, সবাই চেষ্টা করলে বাংলাদেশের এই দলটাও অনেক এগিয়ে যাবে।
‘এটা তো অবশ্যই ভালো লাগে। যেটা আমি বললাম যে এর আগেও আমি তাদের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। তো অনেকদিন পর আবার তাদের কাছে আসতে পারলাম। খুবই ভালো লাগে। একদিক দিয়ে অনেক কষ্টও লাগে, কারণ যেটা আমি একটু আগেও বললাম যে তাদের ফ্যামিলির লড়াইটা অন্যরকম। তো এটাকে আমরা যতটুকু সাধারণ হিসেবে দেখতে পারি এবং তাদেরকে যেন সবসময় মানসিকভাবে ওই সাপোর্টটা দিতে পারি, যাতে তারাও আমাদের মত একজন মানুষ এবং তারা চাইলেই আমাদের চাইতে আরও দ্বিগুণ ভালো কাজ করতে পারে।’