এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে পাঠানোর জন্য ২৩ আগস্টের মধ্যে এ মাসের বিল অনলাইনে সাবমিট করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। একই সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল তথ্য দেয়ার কারণে কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর টাকা ইএফটিতে পাঠানো না হলে তার দায়ভার প্রতিষ্ঠান প্রধানের ওপর বর্তাবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওর অর্থ ইএফটিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিল করা তথ্যই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রতি মাসে যথাসময়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান অনলাইনে বিল সাবমিট না করলে শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর টাকা ইএফটিতে পাঠানো হবে না।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সাবমিট করা বিলের কপি ডাউনলোড করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও সভাপতির স্বাক্ষরসহ সংরক্ষণ করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অধিদপ্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওর টাকা ১ জানুয়ারি থেকে ইএফটিতে দেয়া হচ্ছে এবং জুলাই মাস পর্যন্ত সরাসরি শিক্ষক-কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠানো হয়েছে।
আগস্ট মাস থেকে এমপিও এর টাকা ইএফটিতে পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান থেকে মাসভিত্তিক এমপিওভুক্ত জনবলের বিল সাবমিট করার ব্যবস্থা অনলাইনে যুক্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠান প্রধান তার প্রতিষ্ঠানের এমপিও সংক্রান্ত কাজের জন্য ব্যবহৃত আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ইএমআইএস সিস্টেমের এমপিও-ইএফটি মডিউলে লগ-ইন করে বিল দিতে হবে। এক্ষেত্রে, সংযুক্ত নির্দেশিকা অনুসারে তার প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক শিক্ষক-কর্মচারীর জন্য আলাদা আলাদাভাবে বিধি মোতাবেক প্রাপ্য এমপিও এর টাকা সঠিকভাবে নির্ধারণ করে বিল সাবমিট করবেন।
দাখিল করা বিলের একটি কপি ডাউনলোড করে প্রতিষ্ঠান প্রধান ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি স্বাক্ষর করে নিজ প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করবেন। প্রতিষ্ঠান প্রধানের দাখিল করা তথ্য অনুসারে এমপিও এর টাকা ইএফটিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাব নম্বরে পাঠানো হবে।
প্রতিষ্ঠানের এমপিও তালিকায় বিদ্যমান শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে কেউ মৃত্যুবরণ বা পদত্যাগ করলে প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট মাসে বিধিমোতাবেক তার প্রাপ্যতা নির্ধারণ করে বিল সাবমিট করবেন।
এছাড়া, সাময়িক বরখাস্ত, অনুমোদনহীন অনুপস্থিতি বা অন্য কোনো কারণে বিধিমোতাবেক কোনো শিক্ষক-কর্মচারীর আংশিক বা সম্পূর্ণ বেতন কর্তন বা বন্ধ করার প্রয়োজন হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান বিল সাবমিট অপশনে তা উল্লেখ করবেন।
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিয়োগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
কেএন/এসএন