কলকাতা সফরে এসে বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর দিলেন নরেন্দ্র মোদি

সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কলকাতা সফরে এসে বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে আর বাংলাদেশিদের ট্যাক্সি চালকদের হয়রানির শিকার হতে হবে না।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) কলকাতা সফরে এসে বিমানবন্দর থেকে মেট্রো রুট উদ্বোধনের পর তিনি এ কথা বলেন।

মোদি বলেন, এখন থেকে মাত্র ৪০ টাকা খরচ করে মেট্রোরেলে বাংলাদেশি পর্যটকেরা পৌঁছে যেতে পারবেন পছন্দের গন্তব্য নিউমার্কেট, স্প্ল্যানেড কিংবা হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন।

ভাড়ার তালিকাও ঘোষণা করা হয়েছে। ন্যূনতম ভাড়া ৫ টাকা, সর্বোচ্চ ৭০ টাকা। বিমানবন্দর থেকে যশোর রোড যেতে খরচ হবে মাত্র ৫ টাকা। এসপ্ল্যানেড যেতে ৪০ টাকা, হাওড়া ৫০ টাকা, আর সেক্টর ফাইভের জন্য গুনতে হবে ৭০ টাকা।

এই সফরে মোদি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়েও কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা আমাদের যুবাদের চাকরি ছিনিয়ে নিচ্ছে। পরিকাঠামো উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে, নারী নির্যাতন করছে, তাদের আমরা দেশে থাকতে দেব না।

তিনি বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারী দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। বিজেপিকে ভোট দিলে অনুপ্রবেশকারী পালাবে। ভারত সরকার এজন্য এত বড় অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু ইন্ডি জোট তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। অনুপ্রবেশকে সমর্থন করছে।

বাংলায় অনুপ্রবেশ সামাজিক সংকট তৈরি করছে, এটা থামাতেই হবে। এজন্য আমি লালকেল্লা থেকে ডেমোগ্রাফিক মিশনের ঘোষণা করেছি।’

শুক্রবার বিকেলে সবমিলিয়ে তিন ঘণ্টার কিছু বেশি সময়ের জন্য কলকাতা শহরে আসেন মোদি। সংক্ষিপ্ত সফরে একসঙ্গে উদ্বোধন করেন তিনটি মেট্রো রুটের। এরপর তিনি দমদম সেন্ট্রাল জেলের মাঠে আয়োজিত জনসভায় শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি থেকে অনুপ্রবেশ, লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল সহ একাধিক বিষয়ে মুখ খোলেন।

দমদম সেন্ট্রাল জেল মাঠে ‘পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা’ সভায় নিজের ভাষণের মোদি বলেন, ‘তৃণমূল, কংগ্রেস এবং ইন্ডিয়া জোটের কিছু দল ভোটব্যাংকের রাজনীতির জন্য অনুপ্রবেশকারীদের তোষণ করছে। এর ফলে সীমান্তবর্তী অঞ্চলের ডেমোগ্রাফি পাল্টে যাচ্ছে, কৃষকদের জমি ও আদিবাসীদের জমি দখল হচ্ছে। দেশ এটা সহ্য করবে না। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতেই হবে। আর এজন্য তৃণমূলকেও বিদায় নিতে হবে।’

২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমন সময় পশ্চিমবঙ্গে নরেন্দ্র মোদির এই সফরের বেশ রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শিক্ষকদের দুপুরে 'মার্চ টু সচিবালয়' কর্মসূচি Oct 14, 2025
img
ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে চান আনচেলত্তি Oct 14, 2025
img
আমি মনে হয় স্বর্গে যেতে পারব না: ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
দেশ কোথায় যাচ্ছে : ব্যারিস্টার শামীম হায়দার Oct 14, 2025
img
প্রতিটি জেলায় আলাদা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশ Oct 14, 2025
img
লড়াই করে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিরিজ জিতে যত কীর্তি ভারতের Oct 14, 2025
img
তৃতীয় বিয়ে নিয়ে সমালোচনার পরে মুখ খুললেন তনির স্বামী Oct 14, 2025
img
বিএনপির এই রাজনীতিটা অত্যন্ত ইতিবাচক : জিল্লুর রহমান Oct 14, 2025
img
দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরবৃদ্ধি Oct 14, 2025
img

সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

কুয়েতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশি দূতের সাক্ষাৎ Oct 14, 2025
img
সেনাবাহিনীকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে, অতীতে কখনো হয়নি : রুমিন ফারহানা Oct 14, 2025
img
এখন গাজাকে পুনর্গঠন করার সময় : ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
জামায়াত আমির-ডেনিশ রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 14, 2025
img
দেশে অস্থিরতার চক্র ভাঙার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন : জাহেদ উর রহমান Oct 14, 2025
img
সংগীত কিংবদন্তিদের গল্প নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন স্ট্রেঞ্জার থিংস তারকা ফিন উলফহার্ড! Oct 14, 2025
img
ইসি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই জনগণের, ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ Oct 14, 2025
img
অবরোধ প্রত্যাহার ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের, যানচলাচল স্বাভাবিক Oct 14, 2025
img
স্বর্ণ ৫ হাজার ও রুপা ৬৫ ডলারে পৌঁছাতে পারে ২০২৬ এর মধ্যেই! Oct 14, 2025
img
সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও শিরোপা হাতছাড়া Oct 14, 2025
img
টেইলর সুইফটের নতুন অ্যালবাম রেকর্ড ভাঙল অ্যাডেলের Oct 14, 2025