২১ বার অস্ত্রোপচার শেষে ঘরে ফিরলেন মাইলস্টোনের শিক্ষক নিশি আক্তার

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ শিক্ষক নিশি আক্তার এক মাস পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। তার আগে ২১ বার অস্ত্রোপচার হয় তার।

আজ রোববার (২৪ আগস্ট) বেলা দেড়টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তাকে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের যুগ্ম পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মারুফুল ইসলাম।

গত ২১ জুলাই দুপুরে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, আয়াসহ ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে দুর্ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে ২১ জন ভর্তি আছে। যাদের সবাই স্কুলটির শিক্ষার্থী।

শিক্ষক নিশি আক্তারের বিষয়ে ডা. মো. মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘তার শরীরের অনেকাংশই পুড়ে গিয়েছিলো। তাকে ২১ বার অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে। উনার শরীরের যে অংশে পুড়ে গিয়েছিল, তা পাঁচবার কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।’

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর ইনস্টিটিউটে ৫৭ জন রোগী এসেছিলেন। বর্তমানে ২১ জন ভর্তি আছেন। মারা গেছেন ২০ জন। আজ বয়োজ্যেষ্ঠ একজনকে ছাড়পত্র দেওয়া হলো। এখন এখানে কোনো বয়স্ক রোগী নেই। ২১ জনের সবাই শিশু। তাদের মধ্যে দু-তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তবে আইসিইউতে কেউ ভর্তি নেই।

সংবাদ সম্মেলনে নিশি আক্তার বলেন, ‘আমি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। সবার মাঝে আমাদের তিনি বাঁচিয়ে রেখেছেন। আমাদের প্রতি সহায় হয়েছেন। এই ইনস্টিটিউটের পরিচালকসহ সব চিকিৎসক, নার্স, স্টাফকে ধন্যবাদ জানাই। তারা শুরু থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে পরিশ্রম করেছেন।

‘বিমানবাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি, তারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন। এই ঘটনায় যারা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’

সেদিনের ঘটনার কথা স্মরণ করে নিশি আক্তার বলেন, ‘বাচ্চাদের ক্লাস শেষ করে সবেমাত্র টিচার্স রুমে বসেছি। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে বিকট আওয়াজ হলো। বাইরে এসে দেখি চারদিকে আগুন।’ এরপর ভয়াবহ অবস্থা দেখে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বলে জানান।


ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জালিয়াতির অভিযোগে ইউএনও বিমল চাকমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের Oct 14, 2025
img
মার্কিন শুল্কে বিপাকে ভারত, ইউরোপে নতুন বাজারের সন্ধান Oct 14, 2025
img
মিরপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে বিজিবি Oct 14, 2025
img
এবার থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া শান্তিচুক্তি অনুষ্ঠানে থাকবেন ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ Oct 14, 2025
img
ভাইরাল ভিডিও থেকে সফল অভিনেত্রী, দানানিনের সাফল্যের গল্প Oct 14, 2025
img
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে থাকছেন না লিটন! Oct 14, 2025
img
সব জেলায় পৃথক বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশ Oct 14, 2025
img
একই ছবি পোস্ট করে নেটদুনিয়ায় চমক ছড়ালেন মাহি ও রাকিব Oct 14, 2025
img
শমিত-হামজা থাকলেও একাদশে নেই জামাল ভূঁইয়া Oct 14, 2025
img
শাপলাই পাবে এনসিপি: হাসনাত আবদুল্লাহ Oct 14, 2025
img
এই মাতৃভূমিতে আমার জন্ম, এখানে কবর হবে সেফ এক্সিটের দরকার নাই : ধর্ম উপদেষ্টা Oct 14, 2025
img
ঠাকুরগাঁওয়ে জিতেছি, হেরেছি, কিন্তু কখনও কাউকে ছেড়ে যাইনি: মির্জা ফখরুল Oct 14, 2025
img
দেশের গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে সহায়তার আশ্বাস এফএও মহাপরিচালকের Oct 14, 2025
img
ষড়যন্ত্রকারী উপদেষ্টাদের নাম ও কণ্ঠ রেকর্ড আছে : আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের Oct 14, 2025
img
গোপনে শেফালির ভিডিও করেছে অক্ষয়ের ছেলে Oct 14, 2025
img
অপমান থেকে বাঁচতেই হিন্দি শিখেছিলেন এ আর রহমান Oct 14, 2025
img
রংপুরসহ ৮ বিভাগকে আলাদা প্রদেশ ঘোষণার দাবি Oct 14, 2025
img
ঈশিতের জবাবে স্তব্ধ বিগ বি, কটাক্ষ নেটিজেনদের Oct 14, 2025
img
ইতালির প্রধানমন্ত্রীকে ধূমপান ছাড়তে বললেন এরদোয়ান Oct 14, 2025