বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গত আসরটা ছিল নানা বিতর্ক ও অভিযোগে ভরপুর। যা নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি করেছিল বিসিবি। আজ (মঙ্গলবার) সেই কমিটির প্রাথমিক প্রতিবেদন হাতে পেয়েছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। বিসিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘বিপিএলের একাদশ আসর সংক্রান্ত দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার অভিযোগ খতিয়ে দেখার লক্ষ্যে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি। তারা প্রাথমিক প্রতিবেদন বোর্ড সভাপতির নিকট জমা দিয়েছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক মানদণ্ড এবং আইসিসির নির্দেশিকার আলোকে, বিসিবি জোর দিয়ে জানাচ্ছে যে এই প্রতিবেদন যথাযথ গোপনীয়তা বজায় রেখে এবং সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হবে।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত যেকোনো ব্যক্তি বা সংস্থা বিসিবির সংবিধান, আইসিসি দুর্নীতিবিরোধী কোড এবং প্রযোজ্য আইন অনুযায়ী যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত থাকবে। এই পর্যায়ে কারও নাম প্রকাশ করা হবে না, যাতে বিচার কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং সংশ্লিষ্ট সবার অধিকার রক্ষা করা যায়।’
বিসিবি আরও জানিয়েছে, ‘সতর্কতার সঙ্গে কমিটির সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে যথাসময়ে। প্রাথমিক প্রতিবেদনে একাধিক জরুরি সংস্কারমূলক পদক্ষেপের প্রস্তাব রাখা হয়েছে, যা পরবর্তী বিপিএল আসর সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের জন্য অত্যাবশ্যক। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যবস্থাপনা, দুর্নীতিবিরোধী নজরদারি, এবং কাঠামোগত সুরক্ষা।’
আগামী মাসের শেষ নাগাদ তদন্ত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানা গেছে। যেখানে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান ও কাঠামোগত সংস্কারের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই মুহূর্তে বিসিবি প্রাথমিক প্রতিবেদন সম্পর্কিত আর কোনো মন্তব্য করবে না বলেও স্পষ্টভাবে জানিয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। এর আগে বিপিএলের সর্বশেষ আসর ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক, একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির অপেশাদারিত্ব, ফিক্সিংসহ নানা ইস্যুতে বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছিল। এসব নেতিবাচক খবর ও সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছে বিসিবিও।
এমকে/এসএন