মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে চারবার ফোন করলেও কোনোবারই তাতে সাড়া দেননি নরেন্দ্র মোদি। আচমকা এমনই দাবি করেছে জার্মানির প্রভাবশালী সংবাদপত্র ফ্রাঙ্কফুর্টার অ্যালজেমেইন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদি ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাম্পের ফোন এড়িয়ে গেছেন ‘গভীর অসন্তোষ’ এবং কৌশলগত ‘সতর্কতা’র অংশ হিসেবে। মূলত এই সময়েই ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়।
বার্লিনভিত্তিক গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক থরস্টেন বেনার এক্স-এ প্রতিবেদনটির একটি কপি শেয়ার করে লিখেছেন, ট্রাম্প চারবার ফোন করলেও মোদি তার সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
ফ্রাঙ্কফুর্টার অ্যালজেমেইন আরও জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদি নিজেকে ‘অপমানিত’ মনে করেছিলেন এবং অতীতের একটি ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাননি।
আগেও ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্প একটি ফোনকলে বাণিজ্যচুক্তি হয়েছে বলে ঘোষণা দেন, যদিও বাস্তবে এমন কোনো চুক্তি হয়নি। মোদি ওই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়তে চান না বলেই ফোন এড়িয়ে গেছেন বলে বিশ্লেষণ।
এ দিকে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ২৭ আগস্ট বুধবার থেকে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হচ্ছে, যা পূর্বে ঘোষিত ২৫ শতাংশের সঙ্গে মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ হতে পারে।
শুল্ক কার্যকরের সময় নির্ধারিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিট, যা ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ৩১ মিনিট। এই শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগ, ট্রাম্প প্রশাসনের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের অধীনে।
উল্লেখ্য, ভারতের অর্থনৈতিক স্বার্থে মোদির কূটনৈতিক কৌশল এবং ট্রাম্প প্রশাসনের একতরফা সিদ্ধান্তে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন করে চাপের মুখে পড়ছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, ফাস্ট পোস্ট
এমআর/এসএন