হোয়াইট হাউসে গাজার ভবিষ্যত নিয়ে বৈঠকে টনি ব্লেয়ার

গাজার ভবিষ্যত নিয়ে হোয়াইট হাউজের এক আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। বুধবার (২৭ আগস্ট) হোয়াইট হাউজে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
ইরাক যুদ্ধে তার দেশকে নেতৃত্ব দেয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রদূত হিসেবে আট বছরের মেয়াদে মিশ্র সমালোচনা রয়েছে টনি ব্লেয়ারকে নিয়ে।

বৈঠকের বিষয়বস্তু জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। যদিও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে বলেছিলেন যে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার প্রশাসন নিয়ে ব্যাপক পরিকল্পনার উপর এটি আলোকপাত করবে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, একজন সাধারণ পর্যবেক্ষকের কাছে, ব্লেয়ারের উপস্থিতি হয়তো অবাক হওয়ার মতো ছিল। যদিও তিনি মধ্যপ্রাচ্যে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন সাবেক বিশ্বনেতা। গত এক দশক ধরে এই অঞ্চলে তার সরকারী কার্যক্রম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক উদ্যোগ এবং মাঝে মাঝে মিডিয়াতে উপস্থিতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

২০০৭ সালে ডাউনিং স্ট্রিট ত্যাগ করার পর, ব্লেয়ার আট বছর ধরে তথাকথিত কোয়ার্টেটের মধ্যপ্রাচ্য দূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যেটি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তি চুক্তির জন্য বিশ্বশক্তির একটি দল।

২০১৫ সালে যখন ব্লেয়ার পদ থেকে পদত্যাগ করেন, তখন কোয়ার্টেটকে মূলত একটি অকার্যকর সংস্থা হিসেবে দেখা হত যার কোনো প্রকৃত ক্ষমতা ছিল না।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে ব্লেয়ারের অতীত রেকর্ড খুব কম প্রশংসা কুড়িয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) প্রথমে তার নিয়োগকে স্বাগত জানালেও, তাদের সম্পর্ক দ্রুতই তিক্ত হয়ে ওঠে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্লেয়ার অজনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন এবং পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরে তিনি প্রায় পারসনা নন গ্রাটা হিসেবে ঘোষণার কাছাকাছি চলে যান। কারণ পিএ মনে করত তিনি ইসরাইলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করেন।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজায় আক্রমণ আরও তীব্র করার মধ্যে হোয়াইট হাউসের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা প্রস্তাবগুলো নিয়ে হওয়া বৈঠক সম্পর্কে কোনো বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে, ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প পরামর্শ দিয়েছিলেন যে গাজাকে যুক্তরাষ্ট্র দখল করবে এবং গাজাবাসীদের স্থায়ীভাবে প্রতিবেশী দেশগুলোতে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে।

আমেরিকা এই অঞ্চলটি ‘মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা’ হিসাবে নতুন করে গড়ে তুলতে চেয়েছিল। তবে ট্রাম্পের এই ধারণার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে বিশ্বের অনেক দেশ।

এফপি/ টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
উন্নত চিকিৎসার জন্য এরশাদ উল্লাহকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে Nov 07, 2025
img
মা হওয়া জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয় Nov 07, 2025
img
‘১২০ বাহাদুর’ ছবির ট্রেলারে মন্ত্রমুগ্ধ দর্শকরা Nov 07, 2025
img
ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে কাজাখস্তান Nov 07, 2025
img
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৮৮ Nov 07, 2025
img
সাহসী মন্তব্যে ফের বিতর্কে রাশমিকা মান্দানা Nov 07, 2025
img
রাম চরণ-জাহ্নবী কাপুরের ‘চিকিরি’ গানে মুগ্ধ দর্শক Nov 07, 2025
img
জাহানারা চাইলে সরকার আইনগত ব্যবস্থা নেবে: ক্রীড়া উপদেষ্টা Nov 07, 2025
img
‘নো হাংকি পাংকি’ কোনো রাজনৈতিক দলের ভাষা হতে পারে না : এ্যানি Nov 07, 2025
img
আল্লু অর্জুনকে নিয়ে ফিরছে ‘সরাইনোডু’-এর সিক্যুয়েল Nov 07, 2025
img
সালমান খানের বিজ্ঞাপন নিয়ে আইনি বির্তক Nov 07, 2025
img
বিচ্ছেদের পথে নীল-ঐশ্বরিয়া Nov 07, 2025
img
রাজধানীতে আ. লীগের ৬ নেতাকর্মী আটক Nov 07, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে হাজারো ফ্লাইট বন্ধ করে দিচ্ছে বিমানবন্দরগুলো Nov 07, 2025
img
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেবল দাস তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে: নাহিদ ইসলাম Nov 07, 2025
img
জাহানারার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তামিম ইকবালের ফেসবুক পোস্ট Nov 07, 2025
img
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছিলেন : দুলু Nov 07, 2025
img
রোনালদোর সমালোচনার জবাবে মুখ খুললেন ইউনাইটেড কোচ Nov 07, 2025
img
পরকীয়া নিয়ে মন্তব্য করলেন অক্ষয়ের স্ত্রী টুইঙ্কেল, আলোচনায় অভিনেতার অতীত Nov 07, 2025
img
মোহামেডান ও আবাহনীর পর ফের কিংসের ওপর ফিফা নিষেধাজ্ঞা Nov 07, 2025