মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হতাশ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি হতাশা প্রকাশ করেছেন। মস্কো–কিয়েভ সংঘাত সমাধানে তাদের অবস্থানের কারণে এই হতাশা বলে জানিয়েছে দ্য আটলান্টিক।

এই মাসের শুরুতে ট্রাম্প আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পরে ওয়াশিংটনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আতিথ্য দেন। তিনি যুদ্ধবিরতির বদলে স্থায়ী শান্তি চেয়েছেন, যা পশ্চিম ইউরোপীয় নেতাদের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ট্রাম্প সরাসরি পুতিন–জেলেনস্কি বৈঠকের ওপর জোর দেন।

তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ট্রাম্প ব্যক্তিগতভাবে অভিযোগ করেছেন যে, তার উচ্চপর্যায়ের কূটনীতি কোনো ফল আনতে পারেনি। হোয়াইট হাউস–সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তা ম্যাগাজিনটিকে জানিয়েছেন, তিনি জেলেনস্কি ও ইইউ’র অবাস্তব দাবির ওপর “হতাশা” প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, যুদ্ধ শেষ করতে হলে ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছাড় দিতে হবে বলে ট্রাম্প মনে করেন।

একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, “তিনি শুধু চান এটি শেষ হোক। কিন্তু কীভাবে শেষ হবে? এখন এটা প্রায় গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে।”

জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর থেকে ট্রাম্প জোর দিচ্ছেন, ইউক্রেনের ক্রিমিয়া পুনর্দখল বা ন্যাটোতে যোগদান, দুটোই “অসম্ভব।” তিনি ইউক্রেনীয় নেতাকে বলেছেন “কিছুটা নমনীয়তা দেখাতে।”

রাশিয়া বরাবরই দাবি করে আসছে, শান্তিচুক্তির জন্য সংঘাতের মূল কারণ দূর করতে হবে। তাদের শর্ত হলো—ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে, ন্যাটো বা অন্য কোনো সামরিক জোটে যোগ না দেওয়া, নিরস্ত্রীকরণ ও ‘ডি–নাজিফিকেশন’ করা এবং নতুন ভূখণ্ড বাস্তবতা মেনে নেওয়া। এর মধ্যে ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরোজিয়ে অঞ্চলগুলো রাশিয়ার অংশ হিসেবে গণভোটে যোগ দিয়েছে (২০১৪ ও ২০২২ সালে)।

গত মঙ্গলবার ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, আলোচনা অগ্রগতি না হলে রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয়ের ওপরই তিনি নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক আরোপ করবেন।

পুতিন জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক পুরোপুরি নাকচ করেননি, তবে বলেছেন তা কেবল আলোচনায় বাস্তব অগ্রগতি হলে সম্ভব। মস্কো আরও দাবি করেছে, জেলেনস্কির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তার বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ, আর তিনি যেকোনো চুক্তি করলে তা বাতিল হতে পারে।

গত সপ্তাহে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, কিয়েভ শান্তিতে আগ্রহী নয়, বরং তারা রুশবিরোধী সামরিক জোট গঠনে মনোযোগী।

সূত্র: আরটি

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জামায়াতের কেউ নির্বাচিত হলে সরকারি সুবিধা গ্রহণ করবে না: শফিকুর রহমান Nov 07, 2025
img
বিএনপি নির্বাচিত হলে সকল বন্ধ কলকারখানা চালু করা হবে: শামীম তালুকদার Nov 06, 2025
img
অডিশনের অপ্রীতিকর ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি অভিনেত্রী মৌনী রায় Nov 06, 2025
img
পাকিস্তান সব সময় বন্ধুর মতো পাশে থাকে: ইরানের স্পিকার Nov 06, 2025
img
বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে বিএনপির গণসংযোগ Nov 06, 2025
img
মূল্যস্ফীতির জন্য নিজ সরকারকেই দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট Nov 06, 2025
img
চাদে পানি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩৩ Nov 06, 2025
img
সিমন্সকে গুগলিতে পরাস্ত করার গল্প শোনালেন আশরাফুল Nov 06, 2025
img
এবার ভিয়েতনামে আঘাত হানল টাইফুন কালমায়েগি Nov 06, 2025
img
বাংলাদেশ ম্যাচের আগে নেপাল ফুটবলে অসন্তোষের ঝড় Nov 06, 2025
img
বিএনপির পক্ষে জনজোয়ার দেখে কিছু দল হাংকি-পাংকি শুরু করেছে : প্রিন্স Nov 06, 2025
শাহরুখ-সালমান-আমিরের সম্ভাব্য যুগলবন্দি নিয়ে জল্পনা Nov 06, 2025
স্বাবলম্বিতার গল্প ভেজ্ঞে গেল রাজশাহীতে ফুটপাত উচ্ছেদে | Nov 06, 2025
পেঁয়াজ নিয়ে খেলা! Nov 06, 2025
প্রণোদনার ভাগ না দেয়ায় কৃষি কর্মকর্তাকে পেটালেন ছাত্রদল নেতা Nov 06, 2025
'ব্যাডারা সমস্যার সমাধান করতে যাই, নারীদের রাখি না' Nov 06, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিচারপতি হলেন সোমা সাঈদ Nov 06, 2025
img
বিশ্বকাপ জয়ই আমার ক্যারিয়ারকে পূর্ণতা দিয়েছে : মেসি Nov 06, 2025
img
তিউনিসিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনা Nov 06, 2025
img
ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে বিপিএল খেলবেন তাসকিন Nov 06, 2025