আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ট্রাম্প

‘এটি দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, ফেডারেল আপিল আদালতের রায় সত্ত্বেও তার আরোপ করা শুল্কই কার্যকর থাকবে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

স্থানীয় সময় শুক্রবার আদালতের রায়ের পর নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প লেখেন, ‘সব শুল্ক এখনো কার্যকর আছে।’ তিনি আপিল কোর্টের রায়কে ‘দলীয় পক্ষপাতমূলক ও ভুল’ বলে আখ্যা দেন।

ফেডারেল সার্কিট কোর্ট অব আপিলস শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে, যেখানে বলা হয়েছিল ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছে।

এই রায়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে, যা ট্রাম্পের জারি করা পাঁচটি নির্বাহী আদেশ বাতিল করে দেয়। এসব আদেশে প্রায় সব দেশের প্রায় সব পণ্যের ওপর অনির্দিষ্টকালের জন্য শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।

ওরেগন, অ্যারিজোনা, কলোরাডো ও নিউইয়র্কসহ একাধিক অঙ্গরাজ্য ও বিভিন্ন কোম্পানি এসব শুল্কের বিরুদ্ধে মামলা করে।

আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘এটি দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেবে।’ তার দাবি, শুল্ক বাতিল হলে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আর বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি ও অন্যায্য শুল্ক সহ্য করব না, যা আমাদের কৃষক ও উৎপাদকদের ক্ষতিগ্রস্ত করে।’

এর আগে আদালত জানায়, ১৯৭৭ সালে প্রণীত ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার্স অ্যাক্ট প্রেসিডেন্টকে বিস্তৃত জরুরি ক্ষমতা দিলেও, তা কখনো আমদানি শুল্ক আরোপের জন্য ব্যবহৃত হয়নি। আইনটি মূলত নিষেধাজ্ঞা, অবরোধ ও সম্পদ জব্দের মতো পদক্ষেপে ব্যবহার হয়ে এসেছে।

ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্য ঘাটতি ও মাদক পাচারের মতো কারণ দেখিয়ে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ওই আইনের আওতায় শুল্ক আরোপ করেছিল।

ট্রাম্প জানান, তিনি শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট থেকেই জয় আশা করছেন। তার ভাষায়, ‘অনেক বছর ধরে দুর্বল রাজনীতিবিদরা শুল্কের সুযোগ অন্য দেশের হাতে তুলে দিয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টের সহায়তায় আমরা শুল্ককে আমাদের দেশের জন্য ব্যবহার করব এবং আমেরিকাকে আবার ধনী, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করব।’

এমআর/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি : আমীর খসরু Nov 09, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ Nov 09, 2025
img
নবীনগরে বিএনপির ২ গ্রুপের পাল্টাপাল্টি শো-ডাউন, পরিস্থিতি উত্তপ্ত Nov 09, 2025
img
এ দেশে আর কাউকে ভোট নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না : মান্নান Nov 09, 2025
img
ঝিনাইদহে গণঅধিকার পরিষদ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর Nov 09, 2025
img
দেবীদ্বারে ছাব্বির হত্যাচেষ্টা মামলায় আ. লীগের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Nov 09, 2025
img
গ্রেপ্তারের পর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিল স্বজনরা Nov 09, 2025
img
১৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ, মধ্যরাতে প্রজ্ঞাপন জারি Nov 09, 2025
img
ভাঙ্গায় থানা ভাঙচুর মামলায় গ্রেপ্তার ১ Nov 09, 2025
img
বঙ্গোপসাগরে ইঞ্জিন বিকল, ট্রলারসহ ১৩ জেলে উদ্ধার Nov 09, 2025
img
নির্বাচন নিয়ে একটি পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার চেষ্টা করছে : ব্যারিস্টার অসীম Nov 09, 2025
img
সালমান এখনও আমাকে হুমকি দিচ্ছেন, অভিনেত্রীর অভিযোগ Nov 09, 2025
img
বরিশালে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ২ জনের Nov 08, 2025
img
দিনাজপুরে খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেব না : নুর Nov 08, 2025
img
১৩ নভেম্বরের লকডাউন কর্মসূচি দেওয়া পাগলের প্রলাপ: সালাহউদ্দিন Nov 08, 2025
ইসলামের সেই ঐতিহাসিক ঘটনা | ইসলামিক জ্ঞান Nov 08, 2025
img
ধানের শীষের বিজয় মানেই উন্নয়ন : চৌধুরী নায়াব ইউসুফ Nov 08, 2025
আনুশকা শর্মা মুখ্য ভূমিকায়, বড় পর্দায় ফেরার প্রস্তুতি Nov 08, 2025
অশালীন নাচে মালাইকা, সমালোচনার ঝড়ে হানি সিংও Nov 08, 2025
প্রিয়াঙ্কা-সোনমের শুভেচ্ছায় ভাসলেন ক্যাটরিনা Nov 08, 2025