জুলাই গণহত্যা

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১১তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ আজ

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১১তম দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ হবে আজ।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি হিসেবে রয়েছেন। তবে নিজের সব দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন তিনি। কাঠগড়ায় তার উপস্থিতিতেই জবানবন্দি দিচ্ছেন সাক্ষীরা। দু’একদিনের মধ্যে রাজসাক্ষী হিসেবে তার সাক্ষ্য নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে প্রসিকিউশন।

এর আগে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দশম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। এদিন জবানবন্দি দিয়েছেন ছয়জন। এর মধ্যে চিকিৎসক-সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী রয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজও সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

এসএস/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর হবে : রাষ্ট্রপতি Nov 23, 2025
img
আমার মনে হয়েছে, শেখ হাসিনার আরো প্রোপার ডিফেন্স দরকার : আইনজীবী পান্না Nov 23, 2025
img
আসুন আমরা সকলে মিলে শান্তির পথ খুঁজি: শাহরুখ Nov 23, 2025
img
শিশুকে স্বপ্ন দেখাতে হবে, স্বপ্ন শেখাতে হবে : শিক্ষা উপদেষ্টা Nov 23, 2025
img
সারা দেশকে লাল, হলুদ ও সবুজ জোনে ভাগ করা হবে : ইসি সচিব Nov 23, 2025
img
ক্ষমতার সিঁড়ি হিসেবে আলেমদের ব্যবহারের কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া যাবে না : রেজাউল করীম Nov 23, 2025
img
ভূমিকম্প আতঙ্কে হল ছাড়ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা Nov 23, 2025
img
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বেগম খালেদা জিয়া Nov 23, 2025
img
জাফর ইকবাল স্যার তো গর্তে, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যারকে খুঁজছি : মঞ্জুরুল আলম পান্না Nov 23, 2025
img
বড় ভূমিকম্প মোকাবিলা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্বেগ Nov 23, 2025
img
শাহাজাহান চৌধুরীর বক্তব্যে বিতর্ক, গ্রেপ্তারের দাবি বিএনপির Nov 23, 2025
জায়েদ খানের প্রত্যাখ্যানের শিকার হতে হয়েছিল মাহিয়া মাহিকে Nov 23, 2025
"সাকিব ভাই পোস্ট দিয়েছেন এটা ভালো লাগার বিষয়": তাইজুল Nov 23, 2025
img
সাকিবকে নিয়ে একাদশ ঘোষণা রয়্যাল চ্যাম্পসের Nov 23, 2025
৪৮ ঘণ্টার জন্য দেশের সব তেল–গ্যাস কূপে ড্রিলিং বন্ধ Nov 23, 2025
img
সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ বন্ধ ঘোষণা Nov 23, 2025
img
সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠক অনুষ্ঠিত Nov 23, 2025
img
ওবায়দুল কাদেরের ‘পালিত পুত্র’ হিরুর দুর্নীতি, অনুসন্ধানে দুদক Nov 23, 2025
img
মুথুসামি-জানসেনে ভারতকে প্রোটিয়াদের কঠিন চ্যালেঞ্জ Nov 23, 2025
img
কোরআন-সুন্নাহর বিপরীতে কোনো কাজ বাংলাদেশে হবে না: সালাহউদ্দিন Nov 23, 2025