২০১৮ সালের রাতের ভোট নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন সাবেক আইজিপি মামুন

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্সে আগাম ভোট ভরার পরামর্শ দিয়েছিলেন তৎকালীন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারী। এই তথ্য দিয়েছেন এক সময়ের আসামি থেকে রাজসাক্ষীতে পরিণত হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার এর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলের সামনে তিনি এই জবানবন্দি দেন।
এদিন বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন জুলাই আন্দোলনের সময়ে পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে থাকা মামুন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতে ৫০ শতাংশ ভোট ব্যালট বাক্সে ভরে রাখতে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ওই সময়ের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী। পুলিশে গোপালগঞ্জ সিন্ডিকেট নিয়েও জবানবন্দি দেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সাবেক আইজিপি ট্রাইব্যুনালে আরও বলেন, আন্দোলন দমনে মারণাস্ত্র ব্যবহার, হেলিকপ্টার থেকে গুলি ও ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত হয় রাজনৈতিকভাবে।

তিনি জানান, লেথাল উইপেন ব্যবহারের নির্দেশনা এসেছিল শেখ হাসিনার কাছ থেকে। আর সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান হাবিব, ডিবির হারুন ছিলেন মারণাস্ত্র ব্যবহারে অতিউৎসাহী।

মামুন জবানবন্দিতে বলেন, র‌্যাব-১ এ টিআইএফ নামে গোপন বন্দিশালা ছিল। অন্যান্য র‌্যাবের ইউনিটে ছিল এমন বন্দিশালা। রাজনৈতিক ভিন্নমত ও সরকারের জন্য হুমকি হয় এমন মানুষদের ধরে আনা হতো এখানে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আসতো এসব নির্দেশনা। কখনো নির্দেশনা দিতেন তারেক সিদ্দিকী। আর আয়নাঘরে আটক ও ক্রসফায়ারে হত্যার মতো কাজগুলো করতেন র‌্যাবের এডিসি অপারেশন ও গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক।

এবছরের ২৪ মার্চ মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, স্বেচ্ছায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হয়ে সত্য উন্মোচন করতে চান তিনি।

এর আগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনে আহত, শহীদ পরিবারের সদস্য, চিকিৎসকসহ ৩৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ মাসেই এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করছে প্রসিকিউশন।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাফুফে সভাপতি কেন ক্ষমা চাইলেন Nov 24, 2025
ভেনেজুয়েলায় অভিযান চালাবে যুক্তরাষ্ট্র Nov 24, 2025
সাধারণ মানুষের সঙ্গে আচরণের সীমা ছাড়াল ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীরা Nov 24, 2025
৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে পথচারীর তর্ক Nov 24, 2025
ক্ষমতা বা আসনের লোভে কোনো সমঝোতা নয়: নাহিদ ইসলাম Nov 24, 2025
তৃণমূলের বাবরি মসজিদ উদ্যোগ, রাজনীতিতে উত্তেজনা Nov 24, 2025
img

হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়

পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মেজর সিনহাকে Nov 24, 2025
কুমিল্লায় মনোনয়ন বঞ্চিত ইয়াসিন সমর্থকদের মিছিল Nov 24, 2025
মানুষের ভোগান্তি সত্ত্বেও বিসিএস পরীক্ষার্থীরা তর্কে জড়িয়ে পড়লেন Nov 24, 2025
পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে: জামায়াত নেতা Nov 24, 2025
img
পদত্যাগ করে হাতপাখার মনোনয়ন পেলেন সেই বিএনপি নেতা Nov 24, 2025
সারাদেশকে রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হচ্ছে Nov 24, 2025
ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায়, দেবের নায়িকা হয়ে উচ্ছ্বসিত জ্যোতির্ময়ী Nov 24, 2025
দুই বছরের বিরতির পর ফের পর্দায় ঝলক নিয়ে হাজির বিদ্যা সিনহা মিম Nov 24, 2025
মিস কমিউনিকেশন বাফুফের, ক্ষমা চাইলেন সভাপতি Nov 24, 2025
img
ট্রাম্প দিতে চাইলেও এফ-৩৫ পাবে না সৌদি, কারণ কী? Nov 24, 2025
img
দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএনপির বিকল্প নেই : আমানউল্লাহ আমান Nov 24, 2025
img

বাউল আলেয়া বেগম

আমরা মার খাইতে জানি, কাউরে মারতে জানি না Nov 24, 2025
img
বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে বড় সুখবর দিল সৌদি আরব Nov 24, 2025
img
কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক Nov 24, 2025