বাংলাদেশে ‘এনার্কি’ তৈরি হলে সবচেয়ে খুশি হবে আওয়ামী লীগ ও ভারত : জাহেদ উর রহমান

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে একটি প্রচারণা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। তিনি বলেছেন, কিছু হুজুর আগে ওয়াজ করতেন যে যত দিন ড. ইউনূস বেঁচে থাকবেন যেন দেশে আর কোনো নির্বাচন না হয়।

সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহেদ উর রহমান বলেন, ড. ইউনূস এখন যখন কঠোরভাবে নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তখন তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের ব্যক্তিগত আক্রমণ, সমালোচনা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো শুরু হয়েছে।

এর পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠকের পর ড. ইউনূসের নির্বাচন ছাড়া বিকল্প নেই—এমন কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।

এতে করে নির্বাচনবিরোধী শক্তিগুলো ক্ষুব্ধ হয়েছে। এনসিপি থেকে কেউ কেউ ইতিমধ্যে তাকে স্বজনপ্রীতির অভিযোগে অভিযুক্ত করছেন, আবার কেউ বলছেন এই সরকার এনজিওর মতো চলছে।

তিনি বলেন, সরকারের ভেতরে আরেকটি ‘পাওয়ার সেন্টার’ সক্রিয়। প্রধানমন্ত্রী বা প্রেসিডেন্টের মতো ক্ষমতা ড. ইউনূসের নেই, এমন একটা চিত্র উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে। এমনকি সেনাপ্রধান, প্রধান বিচারপতির সাথে বৈঠক, রাষ্ট্রপতির সাথে মিটিং— এসব ঘটনাকে ব্যবহার করে জরুরি অবস্থার ইঙ্গিতও দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পরিস্থিতি এমন দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে, যেখানে ড. ইউনূস দায়িত্বে থাকলে নির্বাচন বানচাল সহজ হবে না।

তাই তাকে সরাতে সক্রিয় প্রক্রিয়া চলছে। কেউ কেউ আশা করছেন, তিনি নিজেই পদত্যাগ করবেন। কিন্তু এখনই তাকে সরালে বাংলাদেশ ভয়াবহ বিশৃঙ্খলার মুখে পড়বে।

জাহেদ উর রহমান বলেন, ড. ইউনূসের সমালোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু তাকে সরিয়ে দিলে নির্বাচন হুমকিতে পড়বে। সে সুযোগে দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়রা ‘এনার্কি’র পথে দেশকে ঠেলে দিতে পারে।

এই সুযোগে লাভবান হতে পারে আওয়ামী লীগ ও ভারত। তাই ড. ইউনূসকে রেখেই পরিস্থিতি সামলাতে হবে।

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় শেষ দিনের যুক্তিতর্ক আজ Oct 23, 2025
img
অতীতের করা সব ধরনের ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াতে আমির Oct 23, 2025
img
আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না মোদি, যাবেন না মালয়েশিয়া Oct 23, 2025
img
জুভেন্টাসকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেলো রিয়াল Oct 23, 2025
img
মৃত্যুর আগের দিন কী ঘটেছিল শুটিং সেটে Oct 23, 2025
img
সালমান খানের বাড়িতে যাতায়াত,ফোন পেয়েছিলেন বিদ্যা বালানেরও Oct 23, 2025
img
পশ্চিম তীর দখলের বিল ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার জন্য হুমকি : রুবিও Oct 23, 2025
img
মা হারালেন মেহের আফরোজ শাওন Oct 23, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চলছে তৃতীয় দিনের আপিল শুনানি Oct 23, 2025
img
কপিল শর্মার পর এবার নিশানায় পাঞ্জাবি গায়ক তেজি কাহলন Oct 23, 2025
img
তিউনিসিয়া উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, প্রাণহানি অন্তত ৪০ Oct 23, 2025
img
এইচএসসি পাসের হার কম, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফাঁকা থাকছে ১১ লাখ আসন Oct 23, 2025
img
অস্ত্রোপচারের পর নতুন জটিলতায় অভিনেত্রী দীপিকা কক্কর Oct 23, 2025
img
‘ব্যক্তিগত মাহি অনেক সাধারণ’ Oct 23, 2025
img
এইচএসসির ফল পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শেষ হচ্ছে আজ Oct 23, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি আজ Oct 23, 2025
img

দাবি আফগানিস্তানের

সংঘাতের সময় কাবুল ও ইসলামাবাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করেছে ওয়াশিংটন Oct 23, 2025
img
জেনেভা ক্যাম্পে ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণে যুবক নিহত Oct 23, 2025
img
ইসরায়েলের পার্লামেন্টে পশ্চিম তীর দখলের বিল পাস Oct 23, 2025
img
বায়ু দূষণের শীর্ষে বাগদাদ, ঢাকার অবস্থান কত? Oct 23, 2025