অর্থ পাচার ঠেকাতে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে : অর্থমন্ত্রী

অর্থ পাচার ঠেকাতে সরকার কার্যকরী ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মানি লন্ডারিং সম্পর্কিত জাতীয় সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন এ দুটোই রোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন- আমরা আর দুর্নীতি চাই না। মানি লন্ডারিংও একটা দুর্নীতি। আর দুর্নীতির অর্থই সন্ত্রাসে অর্থায়ন হয়। সুতরাং এ দুই ক্ষেত্রকেই না করতে হবে। এটা বাস্তবায়ন করার জন্য যেখানে মানি লন্ডারিংয়ের কিছু হয় এমন তথ্য থাকলেই বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে দেয়া হবে।

অর্থ পাচার রোধে আমদানি-রপ্তানি পণ্য স্ক্যানিং করা হবে এবং ভুল তথ্য দিয়ে কেউ পণ্য আমদানি-রপ্তানি করলে তাদের জরিমানা করা হবে এবং কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে- বলেন মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, পণ্যর দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে এনবিআরে একটি সেল গঠন করা হবে তারা নেটের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পণ্যের দাম জানবে। তারপর তারা রিপোর্ট করবে। ওই দামের চেয়ে ঊনিশ-বিশ হলে সমস্যা থাকবে না। তবে বেশি পার্থক্য থাকলে সেসব পণ্য বাজেয়াপ্ত করা হবে। এখানেই শেষ নয়, যারা এর সঙ্গে জড়িত থাকবে তাদের বিরূদ্ধে জারিমানার পাশাপাশি আইন অনুযায়ী মামলা করা হবে। মামলার রায় অনুযায়ী তাদেরকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

বিদেশি কোনো কোম্পানি এককভাবে ব্যবসায় করতে পারবে না জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, ট্রান্সফার প্রাইসিং হোক আর যাই হোক, এদেশে বিদেশি বেশকিছু কোম্পানি কাজ করে। বিদেশি কোম্পানি এককভাবে ব্যবসা করতে পারবে না। কারণ এককভাবে বিদেশি কোম্পানি কাজ করে এমন কোম্পনি থেকে আমরা রাজস্ব পাই না। তাই বিদেশি কোনো কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে চাইলে তাদেরকে বাংলাদেশের কোনো কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। অন্তত আমরা যেন অর্ধেক রাজস্ব পাই।

কমিটির বৈঠক তিন থেকে বৃদ্ধি করে চার করা হবে এবং বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে পূর্বের বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো কতটা বাস্তবায়ন হলো, জানান অর্থমন্ত্রী।

 

টাইমস/এএইচ/এসআই

Share this news on: