বেশিক্ষণ স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা শিশুর মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর

সময় বদলে গেছে, মানুষের হাতে হাতে পৌঁছে গেছে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ কিংবা ট্যাব। বিনোদনের চিরাচরিত মাধ্যমগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে মানুষ এখন তার অবসরে মুঠোফোনে মুখ গুজেই বিনোদন খুঁজে নিতে চায়। এমনকি ভালোবেসে আমাদের শিশুদের হাতেও আমরা তুলে দিচ্ছি স্মার্টফোনের মতো নানা অত্যাধুনিক ডিভাইস।

গেইম খেলা, ভিডিও দেখা বা বিভিন্ন মজার মজার শিক্ষামূলক অ্যাপস ঘেঁটে ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে শিশুরা কাটিয়ে দিচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তবে নতুন গবেষণা বলছে, দুই ঘণ্টার বেশি ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে শিশুর মস্তিষ্কের তার বিরূপ প্রভাব পরে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিশু দৈনিক দুই ঘণ্টার কম ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে সময় কাটায় তারা মানসিক ও একাডেমিক টেস্টে ভালো ফল করেছে। আপনি যদি আপনার শিশুর মানসিক সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে চান, তাহলে তাদের ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করুন।

গবেষণার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ থেকে ১১ বছর বয়সী ৪,৫০০ শিশুর ওপর জরিপ চালানো হয়। গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে, অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ প্রতিদিন দুই ঘণ্টা বা তার থেকে কম সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে কাটায়, ৫১ শতাংশ শিশু ৯ থেকে ১১ ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঘুমায় এবং ১৮ শতাংশ প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৬০ মিনিট শরীরচর্চা করে। মাত্র ৫ শতাংশ শিশু উপরের তিনটি শর্তই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। তবে সব থেকে আশঙ্কার কথা হলো ২৯ শতাংশ শিশু তিনটি শর্ত পূরণেই অক্ষম।

গবেষকরা জানতে পেরেছেন, যেসব শিশু উপরের তিনটি শর্তই মেনে চলছে তারা অন্যদের তুলনায় উচ্চতর বিশ্ব চেতনার অধিকারী। এখানে বিশ্ব চেতনার সঙ্গে স্মরণশক্তি, মনোযোগ, ভাবনা প্রক্রিয়ার গতি এবং ভাষাগত দক্ষতা সম্পৃক্ত।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চিলড্রেন হসপিটাল অব ইস্টার্ন অন্টারিও রিসার্চ ইন্সটিটিউটের গবেষক জেন ফিলিপ চাপুট বলেন, “এই তিনিটি শর্তের যেকোনো একটিতে অনিয়ম হলে তার প্রভাব বাকী দু’টির ওপর পড়ে। তাই এদেরকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। একত্রে দেখতে হবে।” তথ্যসূত্র: হেলথলাইন.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on: