শিশুদের মাস্ক ব্যবহার বাড়ানোর কৌশল

বিশ্বজুড়ে চলছে কোভিড-১৯ মহামারীর ক্রান্তিকাল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, চলমান জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের নিজেকে সুরক্ষিত রাখার এখন পর্যন্ত কার্যকরী উপায় হচ্ছে- পারস্পরিক শারীরিক দূরত্ব ৬ ফুট বজায় রেখে চলা এবং মাস্ক ব্যবহার করা।

করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ও কমিউনিটিতে এ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রোধে সঠিকভাবে মাস্ক ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি। জার্মানির একটি সমীক্ষা দাবি করছে, করোনা সংক্রমণ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রয়েছে মাস্কের।

কিন্তু এই মহামারির সময় শিশুদের মাস্ক পরা নিয়ে বাবা–মায়েরা বেশ ঝামেলায় পড়েছেন। শিশুরা সহজে মাস্ক পরতে চায় না। আবার পরলেও কিছুক্ষণ পর খুলে ফেলে, মাস্ক পরা অবস্থায়ই নাকে-মুখে হাত দেয়। এ নিয়ে মা–বাবার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করলে অবশ্য এই দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

চলুন জেনে নিই, করোনাকালে শিশুর মাস্ক ব্যবহারের কৌশল

প্রথমত দুই বছরের কম বয়সী শিশুকে মাস্ক পরানোর প্রয়োজন নেই। কারণ, এই বয়সের শিশুরা অস্বস্তি হলে মাস্ক খুলে ফেলতে পারে না, মাস্কের ফিতায় প্যাঁচ লেগে কিংবা কোনো অংশ মুখের ভেতর চলে গিয়ে দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কাজেই এই বয়সী শিশুদের বাইরে না নেয়াই উচিত।

দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের অভিভাবকেরা মাস্ক পরতে ও খুলতে সাহায্য করবেন। মাস্ক পরানোর আগে নিজের হাত অবশ্যই সাবান-পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে পরিষ্কার করবেন। শিশুর মাস্ক প্রতিবার ধরার সময়ই এই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক খুলবেন হাত ধুয়ে কানের পেছনে ফিতাটা ধরে। মাস্কে হাত দেবেন না।

পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুরা বড়দের দেখেই মাস্ক পরার কৌশল শিখে নিতে পারবে। তাই তাদের উৎসাহিত করতে বড়দেরও সঠিক নিয়মে মাস্ক পরতে ও খুলতে হবে। মাস্ক পরা ও খোলার আগে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে।

শিশুর মাস্ক দ্রুত ভিজে যেতে পারে কিংবা নোংরা হতে পারে। তাই বাইরে গেলে কয়েকটি মাস্ক সঙ্গে নেওয়া ভালো। একবার ব্যবহারের পর মাস্ক অবশ্যই ধুয়ে ফেলতে হবে। সার্জিক্যাল মাস্ক হলে একবারের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়।

শিশুকে সঠিক সাইজের মাস্ক পরাতে হবে। ঢিলেঢালা মাস্ক কার্যকর নয়। অস্বস্তির কারণে শিশুও পরতে চাইবে না। পপলিন কাপড় দিয়ে তিন স্তরবিশিষ্ট মাস্ক বানিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। মাস্কের ওপর শিশুর পছন্দ অনুযায়ী রং দিয়ে কোনো ডিজাইন করা যেতে পারে।

কেন মাস্ক পরা দরকার, বয়স অনুযায়ী শিশুকে বুঝিয়ে বলতে হবে। পুতুলের মুখে মাস্ক পরিয়ে কিংবা ছবি এঁকে খেলার ছলে শেখাতে হবে।

শিশু নিয়ম অনুযায়ী মাস্ক ব্যবহার করলে প্রশংসা করতে হবে, ছোট কোনো পুরস্কার দিলে সে উৎসাহিত হবে।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: