বিজ্ঞানী ফয়জুর রহমানের পাশে 'স্বপ্ন'

“খুব দ্রুত এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছিলেন, উদ্দেশ্য নিজের বই বিক্রি। একে একে জীবনের ৮৬ বছর পার করেও বয়সের ভারে ক্লান্ত হননি। উনার হাতে ব্যাগ ভর্তি বইয়ের ভারে ক্ষয়ে যাওয়া জুতা ও নিজের লালিত স্বপ্ন নিয়েই দ্রুত হেঁটে হেঁটে নিজের লেখা বই ‌‘বাঙালির জয়, বাঙালির ব্যর্থতা’ ফেরি করছিলেন।”

সম্প্রতি একজন অমর একুশে বইমেলায় এমনি একজন ব্যক্তিকে দেখে তার বইয়ের কথা এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করলে তা ভাইরাল হয়।

ওই ব্যক্তির নাম ড. ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকী। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ আলীর সহকর্মী ছিলেন।

এদিকে ড. ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকীর ‘বাঙালির জয়, বাঙালির ব্যর্থতা’ বইটি এখন থেকে স্বপ্নের আউটলেটে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে ‘স্বপ্ন’। প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বপ্নের ব্যাগে নিজের স্বপ্ন ফেরি করে বেরানো অবসরপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী ড. ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকীর ‘বাঙালির জয়, বাঙালির ব্যর্থতা’ বইটি এখন থেকে স্বপ্নের আউটলেটে পাওয়া যাবে।

বলা হয়েছে, একজন প্রকৃত স্কলারকে প্রমোট করার জন্য এগিয়ে এসেছে স্বপ্ন। এখন থেকে স্বপ্নের আউটলেটে তার “বাঙালির জয়, বাঙালির ব্যর্থতা” বইটি পাওয়া যাবে। একজন যোগ্য ব্যক্তির প্রাপ্য অর্জনের সংগ্রামের পাশে থাকবে স্বপ্ন।

জানা গেছে, ১৯৩৪ সালে ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার চর মধুচারিয়া গ্রামে ড. ফয়জুর রহমানের জন্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নশাস্ত্রে অনার্স করেন। ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধীনে এসিস্ট্যান্ট এক্সামিনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে নিউক্লীয় শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের উপর দীর্ঘদিন গবেষণা করেন। ১৯৯২ সালে এই সংস্থার নিউক্লিয় বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজির রসায়নশাস্ত্রের শিক্ষকতা করেছেন। রিজিওনাল কো-অপারেটিভ এগ্রিমেন্ট নামক একটি দক্ষিণ এশিয় আঞ্চলিক ফোরামে দীর্ঘ ৭ বছর বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।

তার নিজস্ব গবেষণার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে লেখা প্রকাশিত হয়েছে।

 

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাবিনাদের জন্য দুই নারী ইরানি কোচ নিয়োগ Dec 23, 2025
img
সরকার যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত : প্রধান উপদেষ্টা Dec 23, 2025
img
ধোলাইখাল ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদে জোরালো পদক্ষেপের আশ্বাস ইশরাকের Dec 23, 2025
img
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রার্থনা Dec 23, 2025
img
মিষ্টি কমলালেবু চেনার উপায় Dec 23, 2025
img
নূরুল কবিরের বক্তব্য আমাদের আহত করেছে: জামায়াত Dec 23, 2025
img
বন্যাবিধ্বস্ত পাঞ্জাবের ‘প্রাণ’ ফেরালেন বাদশা Dec 23, 2025
img
ঘন কুয়াশা ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কতা Dec 23, 2025
img
শিলিগুড়িতে বাংলাদেশের ভিসা কেন্দ্র বন্ধ করে দিল বিক্ষোভকারীরা Dec 23, 2025
img
৩ জানুয়ারি ঢাকায় জামায়াতের মহাসমাবেশ Dec 23, 2025
img
নুরের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের হামলার বিচার দাবি ডাকসুর Dec 23, 2025
img
পুলিশ সদর দপ্তরের ৬ ডিআইজি নতুন দায়িত্বে Dec 23, 2025
img
সুনামগঞ্জে ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার Dec 23, 2025
img
তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই চলবে: ইশরাক Dec 23, 2025
img
বিএনপিতে যোগদানের একদিন পরই ডিবি’র হাতে আটক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা Dec 23, 2025
img
তারকা-রাজনীতিবিদদের যোগ্যতা নিয়ে মুখ খুললেন কৌশিক ব্যানার্জি Dec 23, 2025
img
সিরাজগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদ নেতার মরদেহ উদ্ধার Dec 23, 2025
img

সোনু সুদ

মাত্র এক টাকার বিনিময়ে আপনি অনেক আশীর্বাদ পেতে পারেন Dec 23, 2025
img
টঙ্গীতে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মশাল মিছিল Dec 23, 2025
img
সাভারে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার Dec 23, 2025