দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা একই গতিতে এগিয়ে চলেছে। খুব বেশি উত্থান পতন নেই মৃত্যু ও আক্রান্তের হারে। বলা যেতে পারে, দেশে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই ছকে বাঁধা। তারপরও প্রতিদিনই মানুষ মরছে, আক্রান্ত হচ্ছে অনেকে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। এর মধ্যদিয়ে দেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ছুঁইছুঁই।
তবে দেশে গ্রামাঞ্চলের চেয়ে শহরাঞ্চলে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাই যেন বেশি। আবার শহরগুলোর মধ্যে রাজধানী ঢাকাতে করোনায় মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়, ঢাকা বিভাগেই সবচেয়ে বেশি করোনা রোগী মারা গেছেন। আর সবচেয়ে কম মারা গেছে ময়মনসিংহ বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানা বলেন, এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে এক হাজার ৪১ জন মারা গেছেন। যা বিভাগ হিসেবে সর্বোচ্চ। এছাড়া চট্টগ্রামে ৫২১ জন, রাজশাহীতে ১০১ জন, সিলেটে ৮৪ জন, খুলনায় ৮২ জন, বরিশালে ৬৭ জন, রংপুরে ৫৩ জন এবং ময়মনসিংহে ৪৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা এক হাজার ৫৮৭ এবং নারী ৪১০ জন। এমনকি গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রামে ৪ জন, রাজশাহীতে ৭ জন, সিলেটে ৩ জন, খুলনায় ৩ জন, বরিশালে ২ জন এবং ময়মনসিংহের একজন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর প্রায় এক মাস পর মৃতের সংখ্যা গত ২০ এপ্রিল ১০০ ছাড়িয়েছিল। এরপর ২৫ মে মৃতের সংখ্যা ৫০০ এবং ১০ জুন তা এক হাজার ছাড়িয়ে যায়। আর করোনায় মৃতের হিসেবে সংখ্যাটি দেড় হাজার ছাড়িয়ে যায় ২২ জুন।
প্রথম মৃত্যুর পর মাত্র ৮৪ তম দিনে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দুই হাজার থেকে মাত্র ৩ জন কম।
টাইমস/এসএন