চার লাখ টাকা বিনিয়োগে মাত্র পনেরো দিনেই পেয়ে যাবেন ৬ লাখ টাকা! মানে পনেরো দিনেই দুই লাখ আয়! মানিকগঞ্জের এক সরকারি চাকরিজীবীকে এমনই লোভনীয় প্রস্তাব দেয় ইভ্যালি ই-কমার্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ওই চাকরিজীবী ইভ্যালির প্রতারণার ফাঁদে পা দেননি।
তবে চক্রটি বসে নেই। নানা লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। পরে টাকা নিয়ে সময় মত গ্রাহকদের পণ্য না দেয়ায় মানিকগঞ্জের সিংগাইরে ৩৯ লাখ টাকাসহ ‘ইভ্যালি ই-কমার্সের’ ব্যবস্থাপকসহ দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বিপ্লব মিয়া, সহকারী ব্যবস্থাপক ববিদুল ইসলাম এবং জামাল।
সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পারিল বাজারে অবস্থিত ইভ্যালী ই-কমার্স নামের ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে অভিযান চালান সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুনা লায়লা।
এসময় ইউএনও রুনা লায়লা বলেন, ইভ্যালী ই-কমার্স নামের প্রতিষ্ঠানটি বলধরা এলাকার পারিল বাজারে একটি অফিস বসিয়ে গ্রাহকদেরকে বেশি মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। এছাড়া বিভিন্ন পণ্যের আকষর্ণীয় অফার দিয়ে পণ্য বিক্রি ও চাহিদাকৃত পণ্য সময় মতো না দিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন বিকাশ ও নগদে প্রায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই।
আটকদের দেয়া তথ্য মতে, তারা ইভ্যালী ই-কমার্সের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইলে কিংবা অনলাইনে নানা ধরণের প্রোডাক্ট অর্ডার নেন। পরে তা গ্রাহকদের পৌঁছে দিয়ে থাকেন। কিন্তু এর আড়ালে ওই প্রতিষ্ঠানটি অল্প দিনে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিদিন বলধরা শাখায় এক থেকে দেড় কোটি টাকা বিকাশ ও নগদে গ্রহণ করেছে।
সম্প্রতি তারা মানিকগঞ্জে কর্মরত একজন সরকারি চাকরিজীবীকে চার লাখ টাকা বিনিয়োগের বিনিময়ে মাত্র পনেরো দিনে ৬ লাখ টাকা দেয়ার লোভ দেখায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সরকারি কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানটির প্রলোভনের মাত্রা দেখে যেকোনো সচেতন মানুষের সন্দেহ হবে। এজন্য তিনি ইভ্যালী ই-কমার্স থেকে সরে আসেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুনা লায়লা গণমাধ্যমকে বলেন, আটক প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা হচ্ছে।
টাইমস/এসএন