কুষ্টিয়ায় এনআইডি জালিয়াতি: মহিবুলের জবানবন্দি, রিমান্ডে যুবলীগ নেতা সুজন

কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতি করে অন্যের জমি রেজিস্ট্রেশন ও দখলের অভিযোগে করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহিবুল ইসলাম (৪০) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মহিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার দুপুরে তিনি কুষ্টিয়ার সদর আমলি আদালতের বিচারক দেলোয়ার হোসেনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

এদিন দুপুরে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই আদালত মামলার অপর আসামি শহর যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুজ্জামান সুজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত অন্য আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়ার মো. ওয়াদুল ওরফে মিন্টু খন্দকার (৬০), কুমারখালী উপজেলার শালঘর মধুয়া গ্রামের আতিয়ার শেখের ছেলে মো. মিলন হোসেন (৩৮), মিন্টু খন্দকারের বোন লাহিনী দাসপাড়ার বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার শেখের স্ত্রী ছানোয়ারা খাতুন (৫০) এবং অপর বোন খন্দকার আব্দুল আজিজের স্ত্রী জাহানারা খাতুন (৪৫)।

একই সঙ্গে পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে জমি রেজিস্ট্রেশনের ঘটনায় ক্রেতা হিসেবে জড়িত থাকার অভিযোগে মিরপুর উপজেলার সাহাজ উদ্দিনের ছেলে মহিবুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে একটি চক্রের সদস্যরা নিজেরাই ক্রেতা-বিক্রেতা সেজে অন্যের জমি রেজিস্ট্রেশন ও দখল করেন-এমন খবর কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। পরে ওই জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে শহরের এন এস রোডের বাসিন্দা এম এম এ ওয়াদুদ তার প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি বিক্রি ও হস্তান্তরের মাধ্যমে দখল চেষ্টার অভিযোগে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়। এরপর মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।


টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
চোখের জলে ধর্মেন্দ্রকে বিদায় দিল বলিউড Nov 24, 2025
img
চলে গেলেন কিংবদন্তি জার্মান অভিনেতা উডো কির Nov 24, 2025
পনেরো দিন বন্ধ পেয়েও কেন হল ছাড়েনি ঢাবি শিক্ষার্থী? Nov 24, 2025
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল Nov 24, 2025
img
রুক্মিণীর জন্য পাত্র খুঁজে কলকাতা জুড়ে পোস্টার Nov 24, 2025
img
তখন তিনি সুপারস্টার, আর আমার বেতন ছিল মাত্র ১৭৫ টাকা : জাভেদ আখতার Nov 24, 2025
img
যখনই ভোট আসে তখনই ধানের শীষ জিতে : এ্যানি Nov 24, 2025
img

মেয়েদের কাবাডি বিশ্বআসর

চাইনিজ তাইপেকে হারিয়ে কাবাডি বিশ্বকাপে ভারতের বড় জয় Nov 24, 2025
img
বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের ১০৩ চিকিৎসককে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি Nov 24, 2025
img
‘হাস্যকর’ বলে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনাকে প্রত্যাখ্যান ভেনিজুয়েলার Nov 24, 2025
img
জাতীয় দলে ফিরে আসার সুযোগ এখনও রয়েছে সাবিনা-কৃষ্ণাদের Nov 24, 2025
img
এনসিপির আরও এক নেতার পদত্যাগ Nov 24, 2025
img
কোন সিনেমার মাধ্যমে সাফল্যের দেখা পান ধর্মেন্দ্র Nov 24, 2025
img
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২ বছর পর মাঠে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী Nov 24, 2025
img
ধর্মেন্দ্রর যে রেকর্ড বলিউডে কেউ ছুঁতে পারেনি Nov 24, 2025
img
কিংবদন্তি ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে ভারতের রাষ্ট্রপতি থেকে সেলিব্রেটিরা কে কী বললেন Nov 24, 2025
img
‘রকি অউর রানি’তে ওঁর শেষকৃত্যের দৃশ্যের শুটিং করেছিলাম: চূর্ণী Nov 24, 2025
img
হয়তো বড় কোনো বিপদ আসন্ন, সে সম্পর্কে আমরা জানি না : আহমাদুল্লাহ Nov 24, 2025
img
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে আগুন Nov 24, 2025
img
নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ: নৌবাহিনী প্রধান Nov 24, 2025