কুয়েত মৈত্রী হসপিটাল থেকে লিখছি: করোনার সাথে বসবাস (পর্ব-৫)

পঞ্চম তলার এই পরিবেশটা ভিন্ন। ফ্লোরে ঢুকে লম্বা করিডোরে দেখলাম সকলেই হাটাহাটি করছে। এক-দুই জন বয়স্ক স্বামী-স্ত্রী এক সাথে তসবি নিয়ে আস্তে আস্তে হাঁটছেন। ৪ জন মহিলাকে দেখলাম এক সাথে গল্প করছেন আর হাটাহাটি করছেন। বেশ কিছু তরুণ তরুণীও নিজস্ব দল পাকিয়ে হাটাহাটি করছেন। সবাই মাস্ক পরা। নিজেদের মাঝে কিছুটা দূরত্ব আছে তবে কোনো জড়তা নেই। কারণ সকলেই কোভিড পজিটিভ। সকলেই বাচার লড়াইয়ে শামিল, তবে মনে হচ্ছে এখানকার মানুষগুলো দীর্ঘ দিন পর মুক্তি পাওয়া মানুষ। এতদিন যারা ভয়ে সংকোচে ঘরে একাকী জীবন যাপন করেছেন এখানে এসে যেনো তারা কিছুটা মুক্তি পেয়েছে।

লিফট থেকে ফ্লোরে নেমে বাম পাশ দিয়ে ঢুকার পরই চুলা নজরে পরলো। তারপর ডান দিকের গেইটের দিকের গেইট দিয়ে ঢুকতেই লম্বা করিডোর। ৭ম তলা আর ৫ম তলার মাঝে তফাত নেই। লম্বা করিডোরের দুই পাশেই ৬ বেডের ওয়ার্ডগুলো সাজানো। করিডোরের দুই পাশের শেষ মাথায় দুটি করে দুই বেডের কেবিন বারান্দাসহ আর মাঝ বরাবর আরও ছোট ছোট সিঙ্গেল বেডের কেবিন। করিডোর দিয়ে আমাদের ওয়ার্ডটা করিডোরের শেষ মাথার কেবিনের পাশে যেমন ৭ম তলায় ছিলো। ওয়ার্ডে যেতে যেতে করিডোরের মাঝে একটি ছোট ফ্রিজ। রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখার জন্য।

আমরা রুমে পৌঁছানোর পর আগের মতই বেড গুলোতে চাদর বালিশ বিছিয়ে রুমটা গোছানো শুরু করলাম। এখানে আল্লাহ চানতো অন্তত ১৫-২০ দিন থাকা লাগবে। তাই প্রয়োজনীয় সব কিছু বের করে রাতের খাবারের আগেই রুমটা আরামদায়ক করে নিলাম। রাতে আগের মতই নার্স এসে বাকীদের ইনজেকশন আর সবাইকে প্রয়োজনীয় ওষুধ দিয়ে গেলো। এখানে ওষুধ দেবার সিস্টেমটা ভিন্ন। পলি ব্যাগে সিনথেটিক স্টিকারের উপর নাম-বেড লেখা থাকে। তার ভিতর থাকে ওষুধ। প্রতিটা ওষুধ কয়েক পাতা সিনথেটিক টেপ দিয়ে মোড়ানো থাকে তার উপর কাগজ দিয়ে স্ট্যাপল করা। কাগজে লেখা থাকে ওষুধটা কখন কয়টা খাবেন। কন্ট্রোল রুমে রোগীর রিপোর্ট ফাইল থাকে। ফাইল দেখে রোগীর জন্য একটা ওষুধের প্যাকেট করা হয়, তার উপর নাম-বেড নং লিখে নার্সদের দিয়ে পাঠানো হয়। কোনো ওষুধ নিয়ে আপনার সন্দেহ জাগলে আপনি কন্ট্রোল রুমে ডিউটি ডাক্তারকে ফোন দিয়ে জানালে তারা ফাইল দেখে বিষয়টা পরিষ্কার করে। এখান থেকে শুধু কোভিডের ওষুধই না বরং রোগী পূর্বে কোনো নিয়মিত ওষুধ সেবন করলে তাও বিনামূল্যে দেওয়া হয়। তবে ডাক্তারকে জানাতে হয় যে, সে কি কি ওষুধ প্রতিদিন খায়। তবে যারা ইনসুলিন নেন কিংবা অন্য কোনো দামী ওষুধ সেবন করেন তারা তাদের নিজস্ব ওষুধ সাথে নিয়ে আসাটাই ভালো। সব ওষুধ যে সরবরাহ সবসময় সাথে সাথেই করতে পারবে এমন বলা যায়না। তবে কোভিড রিলেটেড ওষুধ সবসময় সরবারহ করে।

রাতে খাবার পূর্বে প্রান্তিক এসে ইনসুলিন দিয়ে গেলো। এখন আর তার কাছে ইনসুলিন রাখতে হবেনা। আবার আগের মত দূর থেকে ইনসুলিন দেবার প্রয়োজন নেই। সবাই কোভিড পজিটিভ। কিছুক্ষণ বসে গল্প করে গেলো। তার আব্বার অবস্থা জানালো। তার আব্বা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম উকিল শেরপুর নালিতাবাড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র। তিনি মোটেও আইসিইউতে থাকতে চান না। রেগুলার ওয়ার্ডে যেতে চায় কিন্তু ওনার রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কম। আর যে পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে তা আইসিইউ ব্যতীত সম্ভব না। প্রান্তিকের বোন নওরিনও আমাকে ফোন দিয়ে বলেছে, যেন তার আব্বাকে বুঝানো হয়। কিন্তু উনি কারো কথা শুনতে নারাজ। রাতের খাবার শেষে আব্বাকে ওষুধ খাইয়ে আমি আর মীম গারগেল করে শুয়ে রইলাম। সাড়ে ১০ থেকে ১১ টার মাঝে নার্সরা এসে আব্বাকে রক্ত তরল করার ইনজেকশন দিয়ে গেলো। আমরা ঘুমিয়ে গেলেও মাঝ রাতে আব্বাকে টয়লেটে নিয়ে যেতে হয়। আমি অবশ্য ঐ সময় আরেকটা কাজ করে ফেলি। আব্বাকে টয়লেট করিয়ে নিয়ে এসে নিজে কয়েক রাকাত নামাজ আদায় করে ফেলি। কিছুটা সময় আল্লাহ রাব্বুল আল আমীনের সঙ্গে কাটায়। এটাতে মনে একটা শান্তি আসে।

এখন কিছুটা গোছানোর পালা। আব্বা কিছুটা স্ট্যাবল হয়েছে কিন্তু মীম আর আমেনার শরীর খারাপের দিকে। পেটে সমস্যা শুরু হয়েছে তাদের। আগে যে টুকটাক সহযোগিতা পাওয়া যেত এখন তাও বন্ধের মুখে। মনে মনে তিনজনের সহযোগিতা করার প্রস্তুতি নিলাম। কিছু প্ল্যান করে নিলাম। এখন আর আগের মত অগোছালো কিছু করা যাবেনা। সময় বেঁধে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আর সবাইকে সময়মত সবগুলো কাজ করিয়ে নিতে হবে। তাই ভোর ৭টায় ঘুম থেকে উঠে ইলেকট্রিক কেটলিতে পানি গরম করলাম, আব্বাকে ঘুম থেকে তুলে গারগেল করিয়ে ফ্রেশ করালাম। আমিসহ বাকীদেরও তাই করালাম। পৌনে আটটায় নাস্তা এলো, সবাই নাস্তা খাবার পর ১০টা পর্যন্ত রেস্ট, তারপর সবার ভাপ নেবার জন্য পানি গরম করলো আমেনা, আমি মাল্টা কাটি সবার জন্য। আব্বা, মীম, আমেনার ছুরি, কাচি ধরা নিষেধ। তাদের রক্ত তরল করার ইনজেকশন দেওয়া হয় বলে তাদের হাত বা অন্য কিছু কেটে গেলে রক্ত থামানো যাবেনা। মাল্টা ও হালকা শুকনো খাবার খাওয়া শেষে ভাপের পানি এসে যায়। সবাই ভাপ নেওয়ার পর মীম গোসল করে নেয়। চারজন মানুষ প্রত্যেকের গোসলের জন্যই পানি গরম করতে হয়। তাই আগে থেকে গোসল শুরু না করলে জট পেকে যাবে।

এর মাঝে ডাক্তার এসে ভিজিট করে, নার্সরা এসে তাদের কাজ সেরে যায়। ডাক্তার নার্সরা সাধারণত সাড়ে ১২টার ভিতর তাদের ডিউটি সেরে যায়। সকলেই বেশ কাছে থেকেই আন্তরিকতার সাথে (কোভিড রোগীর জন্য যতটা সম্ভব) তাদের নিজ নিজ কাজ করে। আবার কন্ট্রোল রুম থেকে ফোন দিয়ে খোজও নেয়। কন্ট্রোল রুমগুলোর নাম্বার প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদা আলাদা করে প্রতিটা রুমে লাগানো আছে।

আব্বা এতে মনে সাহস পায়। কোভিড রোগীর জন্য মনোবলটা অনেক জরুরী। নিরাপদ স্থানে আছি এমন ভাবনাই রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তুলে। মনোবল ভেঙ্গে গেলে ভাইরাস পেয়ে বসে। ডাক্তার নার্সরা চলে যাবার পর আব্বাকে ওয়াশ রুমে নিয়ে যায়। এর মাঝে আমেনা পানি গরম করে রাখে, সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে আব্বাকে গোসল করিয়ে আমিও গোসল সেরে নেই।

জীবনে আব্বাকে এই প্রথমবার আমি গোসল করানোর সুযোগ পেলাম। যদিও নিজের বাবা যখন নিজ হাতে গোসল করতে পারেনা এমন পর্যায়ে চলে যায় এমন অবস্থা মনোকষ্টের কারণ। তবুও আমার ভালো লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো আব্বা-আম্মাকে খেদমত করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করতাম। আল্লাহ যেনো তার সুযোগ করে দিয়েছেন। গোসল শেষে আমরা নামাজ আদায় করে নিই। এর মাঝে প্রতিদিন রুম ক্লিনার, ওয়াশরুম ক্লিনার এসে ক্লিন করে যায়। রুম পরিষ্কার যে করে তার নাম সূবর্ণা। সে বেশ হাসি খুশি। সুন্দর করে সবার খোজ খবর নেয়, ঘর পরিষ্কার করতে করতে অনেক কথা বলে। তার মনে ভয় ডর কম। সুযোগ পেলে পিপিই খুলেই রুম পরিষ্কার করতো।

দুইটা-আড়াইটার ভিতর খাওয়া দাওয়া শেষ করে রেস্ট। ফুফুর বাসা থেকে খাবার আসতে দেরি হলে আমি, মীম, আমেনা অপেক্ষা না করে হাসপাতালের দেওয়া খাবার দিয়ে খাওয়া শেষ করে নেই। যেন পরে আব্বাকে আমি খাওয়াতে পারি, আবার ফুফুর বাসার খাবার আগে চলে এলে আব্বাকে সেইটা দিয়ে আগে খাইয়ে নেই। কোভিড রোগীর জন্য খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। পেট খালি থাকলেই সমস্যা তৈরি হয়। দুপুর আড়াইটা থেকে আসরের আযানের পূর্ব পর্যন্ত আমরা ঘুমিয়ে নিলাম।

আসরের পর প্রান্তিক আসলো। আমি আর প্রান্তিক বারান্দায় বসে গল্প করি। বারান্দাটা চমৎকার। অনেক বড় আর খোলামেলা। সামনে হাসপাতাল কম্পাউন্ডার বড় রাস্তা আর সারি বেধে গাছ গাছালি। হাসপাতালের সীমানা দেয়ালের পর উত্তরা বিএনসিসি রোড থেকে শাহজালাল রোডে যাবার একটি নিরিবিলি রাস্তা। এর মাঝে আমেনা ভাপ নেবার পানি গরম করে আনলো। প্রান্তিক চলে যাবার পর সবাই ভাপ নিলাম। তারপর সবাই রাইস স্যালাইন, বিস্কিট আর সুপ খেয়ে নিলাম। এখন সবারই পেটে কম বেশী সমস্যা আছে তাই স্যালাইন রাইস, স্যালাইন দুটায় সকলকেই খাওয়ানো হচ্ছে। আব্বার প্রেশার বেশী তাই পানি বেশী খাওয়াই। সাথে অল্প অল্প স্যালাইনও খাওয়াতে হয়।

মাগরিবের নামাজ শেষে এক ঘণ্টা প্রয়োজনীয় ফোন গুলি সেরে নেই। আটটার সময় সন্ধ্যায় দিয়ে যাওয়া খাবারগুলোসহ ফয়েল প্যাকগুলো কয়েকটা পাত্রে গরম পানি ঢেলে তাতে গরমের ব্যবস্থা করি। রাতে খাবার ওষুধ শেষে দশটা থেকে সাড়ে দশটার মাঝে আমরা শুয়ে পরি। এগারোটার ভিতর নার্স এসে তার ডিউটি সেরে গেলে লাইট অফ করে দেই।

আজ হঠাৎ রাত ১২ টায় ভাগ্নি নওরিনের ফোন। হাও-মাও করে কাঁদতে কাঁদতে বলল, মামা তুমি একটু প্রান্তিককে নিয়ে আইসিইউতে যাও। আব্বুর জানি কি হয়েছে। আইসিইউ থেকে ডাক্তার ফোন দিয়েছিলো। আমি ঝটপট মাস্ক পরে দৌড়ে চার তলায় নেমে যাই। প্রান্তিককে ফোন দিয়ে ওয়ার্ড থেকে বের করে আইসিইউ ফ্লোরে যাই। ফ্লোরের সিঁড়িতে দাড়িয়ে আইসিইউ ডাক্তারদের ইশারা করলে তারা একজন নার্সকে পাঠায়। নার্স বাইরে এসে জিজ্ঞাস করে এখানে কি? আমরা পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞাস করি ৬নং বেডের রোগীর কি হয়েছে। নার্স বেডে থেকে ঘুরে এসে ভাবলেশহীন ভাবে বলেন, দুঃখিত ঘণ্টা খানেক আগে উনি মারা গিয়েছেন। আপনারা চলে যান, সকালে মারজাকুল থেকে লোক এসে সব কাজ শেষ করে লাশ হস্তান্তর করা হবে। প্রান্তিক হাউমাউ করে কান্না শুরু করলে আমি তাকে সামলে আমার ঘরে নিয়ে আসি। বারান্দায় বসিয়ে আমি আর মীম মিথ্যা সান্ত্বনা দিতে দিতে চেষ্টা করি, পানি খাওয়াই। এর মাঝে আব্বার ঘুম ভেঙ্গে বিষয়টা খোজ পেয়ে যায়। উনি সম্ভবত একটু ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যায়। রাত দুইটার দিকে প্রান্তিক তার নিজ ওয়ার্ডে চলে যায়। আমি হাত পা ধুয়ে শুয়ে পরি। ঘুমাতে হবে, না ঘুমালে আমার শরীরও খারাপ করবে, সকালে উঠে প্রান্তিক আর তার আব্বুকে বিদায় দিতে হবে। শুবার পর নানা চিন্তা মাথায় ভর করে। মৃত্যু কত নির্মম, তার থেকে নির্মম করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। সন্তান হয়ে কাছে যাওয়া যায়না, এক নজর দেখা যায় না। মামা হিসাবে আমার কত দায়িত্ব ছিলো কিন্তু কিছুই করতে পারছিনা। আমারও যে হাত পা বাধা। (চলবে......)

লেখক: ডিরেক্টর, ডেলটা হেলথ কেয়ার, যাত্রাবাড়ী লি.

কুয়েত মৈত্রী হসপিটাল থেকে লিখছি: করোনার সাথে বসবাস (পর্ব-৪)

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বাংলাদেশ-কাতার সশস্ত্র বাহিনীর প্রেষণ জনবল নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষর Nov 16, 2025
img
আইপিএলকে টেক্কা দিতে পিএসএল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত পিসিবির Nov 16, 2025
img
শিল্পীদের নিরাপত্তা চাইলেন তাসনিয়া ফারিণ Nov 16, 2025
img
বাংলাদেশের সাথে লড়াই হবে, জানিয়ে রাখল ভারত Nov 16, 2025
img
কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশনের নিচে ককটেল বিস্ফোরণ Nov 16, 2025
img
প্রথম সপ্তাহতেই ধাক্কা খেলো দুলকার সালমানের কান্তা Nov 16, 2025
img
তাজুল ইসলাম-শিশির মনিরদের চালাকি ফাঁস হয়ে গেছে, মো. তারেকের মন্তব্য Nov 16, 2025
মাদক পার্টি-চক্রে নাম ওঠা নোরা সরাসরি প্রতিবাদ করেছেন Nov 16, 2025
img
আগামীতে আল্লাহ যেন দাঁড়িপাল্লাকে সংসদে পাঠান : আমির হামজা Nov 16, 2025
নতুন আঙ্গিকে শোনা যাবে রুনা লায়লার বিখ্যাত গান Nov 16, 2025
img
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বহিষ্কার ছাত্রদল নেতা Nov 16, 2025
img
শাপলাকলি প্রতীকে মনোনয়ন ফরম কিনলেন সারজিস আলম Nov 16, 2025
img
মেগাস্টার শাকিব খানের সঙ্গে কী কথা বললেন সাইফ হাসান? Nov 16, 2025
img
ঢাকায় শিক্ষক সমাবেশে আহত শিক্ষিকা ফাতেমা আর নেই Nov 16, 2025
img
রাজনীতি ছাড়লেন শমসের মবিন চৌধুরী Nov 16, 2025
img
মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে ধানের শীষে ভোট আনতে হবে : হাজী জসিম উদ্দিন Nov 16, 2025
img
‘সালমান আত্মহত্যা করে নাই, তাকে খুন করা হইছে’ Nov 16, 2025
img
প্রেমের পাশাপাশি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা জরুরি : রনবীর কাপুর Nov 16, 2025
img
বিপিএলে রাজশাহীর কোচ হলেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ Nov 16, 2025
img
বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই প্রধান লক্ষ্য: লুৎফুজ্জামান বাবর Nov 16, 2025