‘আল-কোরআনেই ভাস্কর্য নির্মাণের অনুমতি আছে’

সম্প্রতি একটি ইসলামি রাজনৈতিক দল ও তাদের অনুসারীদের বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভাস্কর্যবিরোধী নতুন আন্দোলন শুরু হয়েছে। যদিও আল কোরআন এবং এর ব্যাখ্যা সম্বলিত তাফসির গ্রন্থে ইসলাম ধর্ম ভাস্কর্য নির্মাণ বা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে, এমন কোনও বক্তব্য নেই। বরং আল কোরআনে মূর্তিপূজা নিয়ে যে আয়াতগুলো রয়েছে, সেখানে শুধু মূর্তি বা ভাস্কর্য অর্থে শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি। ‘মূর্তিপূজা’ করার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ আল কোরআনের অবস্থান মূর্তি বা ভাস্কর্য নয়, মূর্তিকে পূজা করার বিপক্ষে। অনেকে যেভাবে দাগ টেনে এক লাইনে বলছেন ‘ভাস্কর্য নিষিদ্ধ’। আল কোরআনে এভাবে এক লাইনে কোথাও লেখা নেই ‘ভাস্কর্য নিষিদ্ধ’।

প্রকৃতপক্ষে আল কোরআনে ঘটনার মাধ্যমে মূর্তিপূজার বিপক্ষে বলা হয়েছে। যেমন, সুরা আল আম্বিয়া: “যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বললো, এই মূর্তিগুলো কী, যার পূজায় তোমরা রত রয়েছ!’ সে বললো: ‘তোমরা নিজেরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষরাও রয়েছে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে।” (৫২-৫৪)। অথবা সুরা আল আরাফ: “তখন তারা এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে পৌঁছাল, যারা স্বহস্ত নির্মিত মূর্তিপূজায় নিয়োজিত ছিল। তারা বলতে লাগলো, ‘হে মুসা, আমাদের উপাসনার জন্যও তাদের মূর্তির মতোই একটি মূর্তি নির্মাণ করে দিন।’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে বড়ই অজ্ঞতা রয়েছে।” (১৩৮)।

এই সুরার ১৩৯ থেকে পরবর্তী আয়াতগুলো পড়লে স্পষ্টতই বোঝা যায়, হজরত মুসার (আ.) সম্প্রদায় গরুর মূর্তি তৈরি করে তার পূজা করলে ওই পূজার বিষয়ে আল্লাহ হজরত মুসার (আ.) সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছেন। এখানে শুধু পূজা ছাড়া শুধু মূর্তি বা ভাস্কর্য নিষিদ্ধ তা বলা হয়নি।

অবশ্যই সুরা হজের ৩০নং আয়াতের অনেকের বাংলা অনুবাদ: ‘তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো এবং মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাকো’ পড়লে মনে হতে পারে মূর্তিপূজা নয়, মূর্তিও বর্জনীয়। কিন্তু ওই আয়াতের পূর্বের ও পরের আয়াতগুলো পড়লে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যাবে, মূর্তিদের বলতে এখানে ওই মূর্তিদের কথা বলা হয়েছে, যাদের পূজা করা হয় এবং আল্লাহ তার সঙ্গে ওই মূর্তিদের শরিক করতে নিষেধ করেছেন। ওই মূর্তিদের বলতে এখানে ভাস্কর্য বোঝানো হয়নি। আর সেই কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুজীবুর রহমান ওই আয়াতের অনুবাদ করেছেন: ‘তোমরা বর্জন কর মূর্তিপূজার অপবিত্রতা’ [তাফসির ইবনে কাসীর, চতুর্দশ খণ্ড (ঢাকা : তাফসির পাবলিকেশন কমিটি, ২০০৫), ৪৫৩]।

অন্যদিকে ভাস্কর্য নির্মাণের যে অনুমতি ইসলামে রয়েছে তা আল কোরআনের সুরা সাবার ১৩নং আয়াত পড়লে স্পষ্টত্ব বোঝা যায়। ওই আয়াতে বলা হয়েছে : “তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য (ওয়াতামাছিল), হাউজসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির ওপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার, কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্প সংখ্যকই কৃতজ্ঞ।” (http://www.quran.gov.bd/এবং রহমান, তাফসির ইবনে কাসীর, খণ্ড: ১৬, প্রাগুক্ত, ৪২)।

উপর্যুক্ত আয়াত থেকে ভাস্কর্য ইসলামে বৈধ এবং মূর্তিপূজা অবৈধ তা স্পষ্ট। কারণ আল্লাহ পূর্বের আয়াতগুলোয় মূর্তিপূজা করতে নিষেধ করলেও এই আয়াতে নিজেই কৃতজ্ঞতা সহকারে দুর্গ, হাউজসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির ওপর স্থাপিত বিশাল ডেগের পাশাপাশি ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখতে বলেছেন। প্রশ্ন হতে পারে, আল্লাহ ভাস্কর্য নির্মাণ অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দিচ্ছেন, সেখানে উলামারা ভাস্কর্য নিষিদ্ধ এ কথা বলার কে! এখানে ‘ওয়াতামাছিল’ শব্দটি পূজার জন্য নির্মিত নয় এমন ভাস্কর্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে (অবশ্যই এই বিষয়টি বোঝার জন্য পণ্ডিত হওয়ার দরকার নেই। সাধারণ জ্ঞান বলে নবী সুলাইমান (আ.) নিশ্চয় পূজা করার জন্য কোনও ভাস্কর্য নির্মাণ করবেন না। আর সেই ভাস্কর্যকে আল্লাহ স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নও আসে না। সুতরাং এই ভাস্কর্য যে পূজার জন্য নির্মিত হয়নি তা স্পষ্ট)। হজরত সুলাইমান (আ.) ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিলেন, সেটি মহান আল্লাহ আল কোরআনে স্বীকৃতি দিয়েছেন। হজরত মুসা (আ.) অথবা ইব্রাহিম (আ.)-এর ক্ষেত্রে যে মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছিল, তা উপাসনার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল বলে মহান আল্লাহ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং ওইগুলো পরিত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু হজরত সুলাইমান (আ.)-এর ভাস্কর্য পূজার জন্য নির্মিত হয়নি বলে আল্লাহ ওই ভাস্কর্য নির্মাণকে আল কোরআনে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বস্তুত আল কোরআনে ভাস্কর্য বিষয়ে দুই ধরনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, যদি ভাস্কর্য উপাসনার জন্য নির্মিত হয় অথবা উপাসনার জন্য ব্যবহৃত হয়, তাহলে তা অবশ্য নিষিদ্ধ। কারণ তখন সেটি অবশ্যই আর ভাস্কর্য থাকে না। দেব-দেবীর মূর্তিতে পরিণত হয়। আর যদি হজরত সুলাইমান (আ.)-এর মতো সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য নির্মিত হয়, তাহলে সেটি মূর্তি নয়, ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেকে হয়তো খোঁড়া যুক্তি দিয়ে বলতে পারেন, হজরত সুলাইমান (আ.)-এর সময় ভাস্কর্য নির্মাণের অনুমতি ছিল; হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর সময় তা বৈধ নয়। তাদের এ ধরনের বক্তব্য আল কোরআনের অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।

কারণ আল কোরআনের প্রায় অধিকাংশ অংশজুড়ে প্রাচীন ইতিহাস, নবীদের সময়ের দৃষ্টান্ত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং ওই আলোচনার মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে।

মুসলিমরা যদি এভাবে নিজেদের প্রয়োজনে আল কোরআনে বর্ণিত নবীদের সময়ের ঘটনা তাদের জন্য প্রযোজ্য নয় বলতে থাকেন তাহলে ইসলামের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। কারণ ইসলাম ধর্ম মতে, ইসলাম হজরত মোহাম্মদ (সা.) প্রবর্তিত ধর্ম নয়। হজরত আদম (আ.) ইসলাম ধর্ম প্রবর্তন করেন এবং পরবর্তী সময়ে নানা জাতি-জনপথে আগমনকারী নবীদের মাধ্যমে তা বিকশিত হয়ে সর্বশেষ নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে তা পরিপূর্ণতা পায়। তাই পূর্ববর্তী নবীদের সময়ের ঘটনাও মুসলিমদের জন্য অনুসরণীয়। ওই ঘটনাগুলো থেকে ইতিবাচক দিক গ্রহণ করতে হবে এবং নেতিবাচক দিক বর্জন করতে হবে।

আল কোরআনে মূর্তিপূজার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে অনেকে বলেন, যদি ভাস্কর্য তৈরি করা হয় তাহলে মুসলিমরা মূর্তিপূজায় ফিরে যেতে পারে; যেমন গিয়েছিল হজরত মুসার (আ.) সম্প্রদায়। তাদের জন্য বলছি, সেই সম্ভাবনা একেবারেই নেই। কারণ হজরত মোহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী। এরপর আর কোনও নবী আসবেন না। পূর্ববর্তী নবীর উম্মতরা মূর্তিপূজায় ফিরে যায়। কারণ পরবর্তী নবী প্রেরণের জন্য আল্লাহ ওই রকম প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আল কোরআনের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা নেই। কারণ সুরা হিজরে আল্লাহ নিজেই আল কোরআন তথা ইসলাম ধর্মের হেফাজত করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তাই কেয়ামত পর্যন্ত ইসলাম কখনও বিলুপ্ত হবে না এবং নতুন নবীও আর আসবে না।

আর ভাস্কর্য নির্মাণ করলে যদি মুসলিমরা মূর্তিপূজায় ফিরে যেতো, তাহলে ইরানে বছরের পর বছর বিদ্যমান থাকা ভাস্কর্যের প্রভাবে ইরানে একজনও মুসলিমের অস্তিত্ব থাকার কথা নয়। অন্যদিকে হজরত মোহাম্মদ (সা.)-এর অবস্থান শুধু মূর্তিপূজার বিপক্ষে ছিল না। তিনি আগুন, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, গাছ, কুয়া প্রভৃতির ইবাদত সম্ভব নয়–তা বলেছেন।

প্রকৃতপক্ষে, ইসলামের অবস্থান ভাস্কর্য নয়, আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনও এক সত্তা বা একাধিক সত্তাকে সৃষ্টিকর্তা মনে করে পূজা করা অথবা আল্লাহর সঙ্গে যে কোনও কিছুরই অংশীদারি করার বিপক্ষে। এমনকি যদি কেউ আল্লাহকে বিশ্বাস করেন এবং বলেন, আল্লাহ একাধিক জন, সেটাও ইসলাম অনুমোদন করে না। তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, ভাস্কর্য থাকলে মুসলিমরা আবার মূর্তিপূজায় ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এর ধ্বংস প্রয়োজন। তাহলে পৃথিবীতে আগুন, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, গাছ, কুয়া প্রভৃতির ক্ষেত্রে কী হবে? মানুষ এক সময় ওইগুলোরও পূজা করতো। ওইগুলোর যদি অস্তিত্ব থাকে তাহলে মানুষের তো আবার ওইগুলোর পূজায় ফেরত যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে!

প্রকৃতপক্ষে, ভাস্কর্য সম্পর্কিত অবৈজ্ঞানিক ও অলস মস্তিষ্কপ্রসূত বক্তব্য চর্চা করতে গেলে পুরো পৃথিবীকেই ধ্বংস করতে হবে। কারণ ইতিহাস চর্চা করলে দেখা যাবে, মানুষ এক সময় নভোমণ্ডলের দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান প্রায় সব প্রাকৃতিক ও মনুষ্য সৃষ্ট অতিপ্রাকৃতিক বস্তুকে সৃষ্টিকর্তা মনে করে পূজা করেছে। মানুষ আবার পূজায় ফিরে যাবে ওই আশঙ্কায় ওই সব পূজনীয় বস্তুর সব ধ্বংস করা কি আদৌ সম্ভব?

প্রশ্ন হতে পারে, তাহলে হজরত মোহাম্মদ (সা.) কাবাঘরের মূর্তি অপসারণ করলেন কেন? মনে রাখতে হবে, কাবাঘরে কোনও ভাস্কর্য ছিল না। ছিল মূর্তিপূজার উপাস্য বা প্রতিমা। আর ইসলাম প্রতিমার ওই সৃষ্টিকর্তা হওয়ার দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে বলেই হজরত মোহাম্মদ (সা.) তা কাবাঘর থেকে অপসারণ করেছিলেন। অবশ্যই কাবাঘর ছাড়া অন্য কোনও জায়গা থেকে হজরত মোহাম্মদ (সা.) প্রতিমা অপসারণের নির্দেশ দেননি বা অপসারণ করেননি। শুধু কাবাঘর থেকে প্রতিমা অপসারণ করেছিলেন। কারণ কাবাঘর ছিল ইসলাম ধর্মের প্রার্থনাস্থল বা মসজিদ। তাই কোনও অজুহাত তুলে অন্য ধর্মের অনুসারীদের প্রার্থনাস্থল বা মন্দির দখল অথবা ভাস্কর্য ভাঙার বিষয়টি ইসলাম অনুমোদন করে না।

উপরের আলোচনার পরিসমাপ্তিতে বলা যায়, ইসলাম ধর্ম মূর্তিপূজাকে তার অনুসারীদের জন্য অনুমোদন করেনি। তবে ইসলাম ধর্মের কোথাও ভাস্কর্য নিষিদ্ধ এ কথা বলা হয়নি। বরং আল কোরআনে আল্লাহ ভাস্কর্য নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন। এক কথায় ইসলাম ধর্মে মূর্তি বা যেকোনও ধরনের পূজা নিষিদ্ধ হলেও ভাস্কর্য নির্মাণ বা প্রদর্শন অবৈধ নয়।

লেখক: মো. আবুসালেহ সেকেন্দার
সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বিএনপি খালেদা জিয়ার দল, তারেক রহমানের দল: রুমিন ফারহানা Jul 19, 2025
img
তদবির নয়, এবার বিচারপতি নিয়োগে কাঠামোগত পরিবর্তন Jul 19, 2025
img
সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে উইমেন্স ইউরোর সেমিফাইনালে স্পেন Jul 19, 2025
img
ড্রোন ও এআই অস্ত্র নির্মাণে যৌথভাবে কাজ করবে যুক্তরাজ্য-জার্মানি Jul 19, 2025
img
স্ত্রীকে তালাক দিয়ে ২৫ কেজি দুধে স্নান করলেন হৃদয় মিয়া Jul 19, 2025
img
হাই অল্টিটিউড ম্যাচে কতটা প্রস্তুত জামালরা? Jul 19, 2025
img
সমর্থক গ্রেফতারে শীর্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড Jul 19, 2025
img
সরকারই উসকানি দিয়ে এনসিপিকে গোপালগঞ্জ পাঠিয়েছে : এলডিপি মহাসচিব Jul 19, 2025
img
বাংলাদেশ সরকারের কাজের প্রশংসা করলেন স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট Jul 19, 2025
img
কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের লোক ছাত্রদের দল গঠনের বুদ্ধি দিয়েছে : অলি আহমদ Jul 19, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ চায় না বিএনপি Jul 19, 2025
হলফনামায় শেখ হাসিনার মি'থ্যা তথ্য, ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ নেই ইসির Jul 19, 2025
img
মুজিববাদের কবর দিতে গোপালগঞ্জ যাওয়ার দরকার নেই : এ্যানি Jul 19, 2025
বাংলাদেশে স্টারলিংক কার্যক্রমে সরকারকে ‘নজিরবিহীন’ বললো স্পেসএক্স Jul 19, 2025
‘হিরোস উইদাউট কেপস’ ডকুমেন্টারি: জুলাই আন্দোলনের প্রামাণ্য চিত্র Jul 19, 2025
img
জামালপুরে যুব মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেফতার Jul 19, 2025
img
বাংলাদেশে স্টারলিংক আনুষ্ঠানিকভাবে চালু, রিসেলার বিএসসিএল Jul 19, 2025
img
দলীয় উন্নয়নেই মনোযোগ, আজও দ্বিতীয় সারির দল পাঠাবেন বাটলার Jul 19, 2025
img
পাকিস্তানের ইরানি দূত এখন এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড Jul 19, 2025
img
এসি মিলানে মডরিচ, ফিরে গেলেন ছোটবেলার প্রেমে Jul 19, 2025