আঘাতের কারণেই বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশ ময়নাতদন্তের পর এ কথা জানান।
ডা. মো. সোহেল মাহমুদ বলেন, দুপুরে বুয়েটছাত্রের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তার হাতে, পায়ে ও পিঠে মারধরের আঘাত রয়েছে। এ আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, আঘাতের ধরণ দেখে মনে হয়েছে, ভোতা কোনো জিনিস যেমন- বাঁশ বা স্ট্যাম্প দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়েছে। তবে তার মাথায় কোনো আঘাত নেই। কপালে ছোট একটি কাটা চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার শরীরে বিশেষ কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। হাতে, পায়ে ও পিঠে আঘাতের স্থানে রক্তক্ষরণ ও পেইনেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে রোববার রাত তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের নিচতলা থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহত আবরার ফাহাদ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে। তিনি বুয়েটের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমে থাকতেন।
আবরার হত্যায় বুয়েট ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
"রহস্যজনক মৃত্যু"র আগে আবরারের শেষ দুই স্ট্যাটাস
বুয়েটে গভীর রাতে ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা
টাইমস/এইচইউ