বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণের ষড়যন্ত্র চলছে। নির্দিষ্ট সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে না পারলে জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি ধ্বংস হবে। এ ধরনের ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনের রব উঠলে বাধ্যতামূলকভাবে তাদের পথ খুঁজতে বাধ্য হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আরামবাগিচা মহিলা ডিগ্রি কলেজ মাঠে এক আলোচনাসভায় তিনি এসব বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের দেশের মানুষ দল, ব্যক্তি ও মার্কা দেখে ভোট দেয়। তারা পিআর পদ্ধতি বোঝে না। যারা পিআর পদ্ধতির নাম করে নির্বাচন ভুন্ডল করার ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে রুখে দেওয়া হবে। জনগণের অধিকার রক্ষায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। দেশে নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, স্বৈরাচার হাসিনার ষড়যন্ত্র তত বাড়তে থাকবে। তাই দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘদিন বিদেশে থাকলেও আন্দোলন সংগ্রামী নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে তার কোনো ভুল হয়নি। আগামীদিনে গণতন্ত্র রক্ষায় তার কোনো ভুল হবে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনীতির নামে ধর্মকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এটা নৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে অপরাধ। ধর্ম কারো একক মালিকানা নয়- ধর্ম মানুষের আত্মিক সম্পদ, তা দিয়ে ভোটের ব্যবসা চলতে পারে না। সব ধর্মের মানুষ যেন সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করাই রাজনীতির দায়িত্ব।
ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।
সেলিমা রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সব লুটপাট করেছে। এখন শুরু হয়েছে ২৪ এর চেতনা, যার কথা বলে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মা। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানো হয়েছে। তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে খুনি শেখ হাসিনা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপি আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে ভারতে পালাতে সাহায্য করেছে।
সেলিমা আরো বলেন, বাংলাদেশে এখনো অনেক আওয়ামী লীগের দোসর রয়ে গেছে। যারা ভারতে পালিয়েছে, তারা সেখান থেকে দেশকে নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা মানুষের মৌলিক অধিকার,গণতান্ত্রিক অধিকার ও জনগণের ভোটাধিকার ধ্বংস করেছিল। আমরা গণতন্ত্রকে নিয়ে আর কোন ষড়যন্ত্র হতে দেব না।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারের পতন হলেও এখনও কাজ শেষ হয়নি, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেয়া হবে না, আগামী নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত, সেই লক্ষ্যে সব নেতাকর্মীকে কাজ করতে হবে।
কেএন/টিকে