অতীতে রাষ্ট্রের সম্পদ লুটকারীদের হাতে আর ক্ষমতার চাবি দেবেন না: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, অতীতে যারা রাষ্ট্রের সম্পদ লুট করে অর্থ-বিত্তের পাহাড় গড়েছেন, জনগণ যেন তাঁদের হাতে আর ক্ষমতার চাবি তুলে না দেন।

গতকাল শুক্রবার ঢাকা-১০ আসনের কাফরুল দক্ষিণ থানা আয়োজিত ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চিকিৎসা শেষে ৪৭ দিন পর তিনি আবার জনসমক্ষে রাজনীতির মাঠে ফেরেন।

আমিরে জামায়াত বলেন, “জামায়াতে ইসলামী একা পারবে না। প্রত্যেক ঘর থেকে, প্রতিটি পরিবার, প্রতিটি পেশা ও শ্রেণি থেকে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনারা সাহস করে বলুন—‘আমাদের সম্পদের যাঁরা চৌকিদার, পাহারাদার’ হবেন, এবার সেই বিশ্বস্ত পাহারাদারদের হাতেই আমাদের চাবি তুলে দিতে চাই।”

অতীতে যাঁরা ক্ষমতায় ছিলেন তাঁরা জনগণকে ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে পারেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমাদের জেনে-বুঝে আগামীর বাংলাদেশের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জনগণ সত্যের পক্ষে রায় দিলে পাঁচ বছরের মধ্যেই দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করা সম্ভব।সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

ডা. শফিক আরো বলেন, ‘দেশবাসী যদি আল্লাহর মেহেরবানিতে আমাদের দায়িত্ব দেন, আমরা খেটেখুটে চেষ্টা করব। আমরা তেল মাথায় তেল দেব না; বরং তেলের অভাবে যার চামড়া ফেটে গেছে, তার গায়ে একটু তেল মাখানোর চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ।’

জামায়াতের আমির বলেন, জামায়াত থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভবিষ্যতে সরকারের কোনো প্লট অল্প মূল্যে গ্রহণ করবেন না, বিনা ট্যাক্সের গাড়ি ব্যবহার করবেন না। সরকারের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা যতটা সম্ভব পরিহার করার চেষ্টা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দুজন মন্ত্রী সৎ, দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত থেকে তা প্রমাণ করেছেন। তাই কাঙ্ক্ষিত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’

নিজের চিকিৎসার প্রসঙ্গ তুলে আমিরে জামায়াত বলেন, ‘দেশীয় চিকিৎসায় সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরাতেই আমি দেশে চিকিৎসা নিয়েছি। বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে অনেকে কফিনবন্দি হয়ে ফিরেছেন, আবার দেশেই চিকিৎসা নিয়ে অনেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন। দেশীয় চিকিৎসার প্রতি আস্থা বাড়াতে আমাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।’


ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
না ফেরার দেশে অমিতাভ-অক্ষয়দের সহ অভিনেতা Sep 06, 2025
img
‘বিবৃতি চাই না, মব সামলা’, নুরাল পাগলা বিষয়ে নিপুনের পোস্ট Sep 06, 2025
img
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবে না পাকিস্তান! Sep 06, 2025
img
ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র এখনো চলমান : উপদেষ্টা আদিলুর রহমান Sep 06, 2025
img
মাজার ভাঙা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়া রাসুলের শিক্ষা নয় : রিজভী Sep 06, 2025
img
‘অনুদান নয়, সেবা’, বন্যার্ত পাঞ্জাবের পাশে অক্ষয় কুমার Sep 06, 2025
img
নেপাল ম্যাচে নেই হামজা-সমিত, তবুও আশাবাদী কোচ-অধিনায়ক Sep 06, 2025
img
মহাকাশে আছি, অক্সিজেন কেনার কথা বলে জাপানি নারীর অর্থ আত্মসাৎ Sep 06, 2025
img

ডা. তাহের

দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে হবে চবির সাবেক শিক্ষার্থীদের Sep 06, 2025
img
এক্সরে করে যুবকের পেটে মিলল বিপুল ইয়াবা Sep 06, 2025
img
‘রঘু ডাকাত’ সিনেমার ট্রেলার মুক্তি আগেই আচমকা পুলিশ কমিশনারের শরণাপন্ন দেব! Sep 06, 2025
img
বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের সুযোগ-সুবিধা আমার দেখা সেরা : পাইবাস Sep 06, 2025
img
জোকোভিচকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছালেন আলকারাজ Sep 06, 2025
img
এই রকম গালি শুনব তা কল্পনাও করিনি : নিলোফার মনি Sep 06, 2025
img
শাহীন আফ্রিদির চোখে সবচেয়ে কঠিন ব্যাটসম্যান কে? Sep 06, 2025
img

জিল্লুর রহমান

রাজনীতিতে নতুন নাটকীয় অস্থিরতা জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি Sep 06, 2025
img
ইয়েমেনের বিপক্ষে জয় নিশ্চিত করতে মরিয়া মোরসালিনরা Sep 06, 2025
img
হোয়াটসঅ্যাপে নতুন এআই ফিচার, মেসেজ লেখায় বানানও ঠিক হবে! Sep 06, 2025
img
ড. ইউনূসের কার্যকাল আর কতদিন, প্রশ্ন তুললেন গোলাম মাওলা রনির Sep 06, 2025
img
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ পাকিস্তানের নতুন হাইকমিশনারের Sep 06, 2025