বিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে হুমকি দেয়া হয়েছে, এই অভিযোগ মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়। এটা ভোটের ময়দানে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সমবেদনা আদায়ের কৌশলও হতে পারে। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হক।
তিনি আরও বলেন, বুলবুলকে দীর্ঘ মেয়াদে বিসিবির চেয়ারে বসাতে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এদিকে, তামিম ইকবালের প্রার্থিতা সম্পর্কে আলী আসগার লবীর বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছেন আমিনুল।
ক্রিকেট বোর্ডের ভোটের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে, যোগ হচ্ছে নতুন মাত্রা। নির্বাচন থেকে সরে যেতে হুমকি দেয়া হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। যদিও এ দাবিকে ভোটের মাঠের কৌশল বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন আমিনুল হক।
‘আমি জানি না যে বুলবুল ভাইয়ের সাথে এই কাজটি কে করেছে বা কারা করেছে বা কেন করেছে। বাট আদৌ এটা করেছে কি না, সেটি নিয়েও আমার কাছে সন্দেহ মনে হচ্ছে। কারণ, সামনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রত্যেকটি প্রার্থীরাই তাদের নিজস্ব চিন্তাধারা নিয়ে কিছু সিম্পেথি গ্রো করা চেষ্টা করছেন। যে সিম্পেথির মাধ্যমে হয়তোবা সে চিন্তা করতে পারে যে....., তার সাথে এই রকম একটি কাজ হয়েছে তাকে আমরা ভোট দেই। আছে না যে... লোকাল অনেক কিছুই থাকে। সো যদিও এইটা জাতীয় নির্বাচনের মতো না, বাট আমি মনে করি, ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচনটা অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী একটি নির্বাচন।’
ই মুহূর্তে দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে বিগ ফ্যাক্টর আমিনুল হক। বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক বিসিবি নির্বাচনের সমীকরণেও হতে পারেন প্রভাবক। বোর্ডের সাবেক সভাপতি আলী আসগার লবীর তামিম ইকবাল ইস্যুতে বক্তব্য নিয়ে জানতে চাওয়া হয় তার কাছে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেবেন তামিম, আলী আসগার এমনটা জানালেও আমিনুল বলছেন ভিন্ন কথা।
‘তামিম ইকবাল একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমরা তাকে দেখতে চাই। সে নির্বাচন করতেই পারে, এখানে বিএনপি বা অন্য কাউকে সামনে রেখে বা বিএনপির নাম ব্যবহার করে...... যে বিষয়টি আমাদের লবি ভাই বলেছেন এটি আমি আসলে তার সাথে সহমত পোষণ করছি না। তিনি কীভাবে কথাটি বললেন, উনি এক সময় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ছিলেন, দায়িত্বশীল জায়গায় ছিলেন। হয়তোবা ভুলক্রমে বলে ফেলেছেন আমার কাছে মনে হয়। তিনি হয়ত সঠিক বিষয়টা এখন পর্যন্ত উপলব্ধি করতে পারেননি। যেহেতু আমরা সরকারে নাই, আমরা সরাসরি কোনো কিছুতে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা চাই যে, স্বাধীন চিন্তা নিয়ে স্বাধীনভাবে যেন ক্রিকেট বোর্ডটা গঠিত হয়।
লবীর বক্তব্যের পর ক্রিকেট পাড়ায় রব উঠেছে, তামিম বিএনপি সমর্থিত আর বুলবুল অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থনপুষ্ট। তামিমের বিষয়টি অস্বীকার করলেও, তামিমের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে কড়া কথা শোনাতে ছাড়েননি আমিনুল।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘ক্রীড়া উপদেষ্টার যে হস্তক্ষেপ, এটা আমি তার আহ্বান করবো যে আপনি এই হস্তক্ষেপ বন্ধ করেন। আমি শুনেছি যে তিনি বুলবুল ভাইকে বুলবুল ভাইকে প্রেসিডেন্ট করার জন্য একদম উঠে পড়ে লেগেছেন। এবং এইটা করার জন্য যা যা করণীয় আছে তিনি করছেন। তার অফিসে, তার বাসায় আমাদের ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান যারা আছেন তাদেরকে ডাকছেন। যারা বিগত সময়ে ছিলেন, যারা ভবিষ্যতে আসতে চান, অনেককেই তিনি নিয়ে তার মত করে সাজানোর চেষ্টা করছেন।’
এসবের মাঝে নতুন গুঞ্জন, ফারুক আহমেদের সঙ্গে নাকি দেখা করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা।
কেএন/টিএ