জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসান। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন তিনি।
ছাত্রদল প্যানেলে আরও যেসব প্রার্থী রয়েছেন- জিএস তানজিলা হোসাইন বৈশাখী, এজিএস (পুরুষ) সাজ্জাদুল ইসলাম এবং এজিএস (নারী) আঞ্জুমান আরা ইকরা, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ইয়ামিন হাওলাদার, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক লিখন চন্দ্র রায়, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদ হাসান খাঁন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবিদুর রহমান, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পারভেজ হাসান নিশান, নাট্য সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন তাওহিদুর রহমান খাঁন, সহ-সমাজসেবা (পুরুষ) শাকিল সর্দার, সহ-সমাজসেবা (নারী) কাজী মৌসুমী আফরোজ, ক্রীড়া সম্পাদক উজ্জ্বল হাসান।
আরও রয়েছেন, সহ-ক্রীড়া (পুরুষ) রুহুল আমিন সুইট, সহ-ক্রীড়া (নারী) মোছা. শাহানাজ পারভীন শানু, পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পাদক মমিনুল ইসলাম।
এছাড়া প্যানেলের কার্যকরী সদস্য পদে রয়েছেন- (নারী) সুমাইয়া সুলতানা ছিয়া, হ্যাপি আক্তার শিলা, শায়লা সাবরীন নিঝুম আর পুরুষের মধ্যে রয়েছেন- হামিদুল্লাহ সালমান, মেহেদী হাসান, এএম রাফিদুল্লাহ।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৭ জন। বিভিন্ন পদে মোট ১৭৮ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনুমোদন পেয়েছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ১০ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০টি ছাত্রী হল ও ১১টি ছাত্র হল। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন একজন রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৬৭ জন পোলিং কর্মকর্তা ও ৬৭ জন সহকারী পোলিং কর্মকর্তা। ভোটাররা কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি ব্যালটে ভোট দেবেন (টিক চিহ্ন দিবেন)। বিশেষ ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করা হবে।
জাকসুর মোট প্রার্থীর ২৫ শতাংশ ছাত্রী, বাকি ৭৫ শতাংশই ছাত্র। ভিপি পদে কোনো নারী শিক্ষার্থী প্রার্থী হননি। জিএস পদে ১৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মেয়ে দুইজন। আর চারটি পদে কোনো মেয়ে প্রার্থীই নেই। সবগুলো হল সংসদ মিলিয়ে মোট প্রার্থীর ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ ছাত্রী। আর মেয়েদের হলগুলোর পাঁচটিতে ১৫ পদে প্রার্থীই নেই।
নির্বাচনে বাগাছাসের ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেল লড়বে আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়ামের নেতৃত্বে।
‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলে আব্দুর রশিদ জিতু ভিপি এবং মো. শাকিল আলীর জিএস পদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইসলামী ছাত্রশিবির ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে লড়বে। তাদের ভিপি প্রার্থী আরিফুল্লাহ আদিব ও জিএস মাজহারুল ইসলাম।
‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলে জিএস পদে শরণ এহসান, এজিএস (পুরুষ) পদে নুর এ তামীম স্রোত এবং এজিএস (নারী) পদে ফারিয়া জামান নিকি লড়বেন। এ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী অমর্ত্য রায় জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন আদালত। ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্যদে’ জিএস পদে জাহিদুল ইসলাম ঈমন, এজিএস-নারী পদে সোহাগী সামিয়া জান্নাতুল ফেরদৌস লড়াই করছেন।
এসএস/এসএন