'নির্বাচন ত্রুটিযুক্ত, তবে ভোটারদের সম্মানে বর্জন করবে না ঐক্য ফোরাম'

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (জাকসু) বাংলাদেশ গণোতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্যানেল ঐক্য ফোরামের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ সিয়াম জানিয়েছেন, ভোটারদের প্রতি সম্মান জানিয়ে নির্বাচন বর্জন করছেন না তারা। তিনি বলেন প্রশাসন সবসময় নির্বাচন বানচালের চিন্তায় ছিলো। এবারের নির্বাচন বানচাল হলে জাকসুতে আবারও ৩৩ বছরের জটলা তঈরি হবে বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে যে পোলিং এজেন্ট যে থাকবে এটি গতকাল রাতে আমাদের জানানো হয়েছে। অবজারভার থাকবে না, প্রার্থীদের আইডি কার্ড দেয়া হবে কী না এমনটাও গতকাল রাতে জানানো হয়েছে। ডোপ টেস্ট, নির্বাচনের ২/৩ দিন আগে একটা প্যানেলের ভিপি প্রার্থীর প্রার্থিতা চলে যাওয়া এসব আমাদের মনে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। এই নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে, অপরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে। এই নির্বাচন আয়োজনের জন্য কমিশন মোটেও প্রস্তুত ছিল না। তারা চেয়েছে শিক্ষার্থীরা এসব দেখে যাতে নির্বাচন বানচালের জায়গায় যায়।

তিনি জানান, ৩৩ বছরের নো জাকসুর চেয়ে একটি ব্যাড ইলেকশন ভালো।এর মাধ্যমে অন্তত গণতান্ত্রিক ধারার প্রচলনটা হোক। যাতে এই শুরু আমরা করেছি এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।

তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের ফলাফল চাই, পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন যে ভুলগুলো করেছে সেগুলোও আমরা তুলে ধরেছি। যে সাড়ে ৭ হাজার মানুষ ভোট দিয়েছে তাদেরকে আমরা সম্মান জানাই। ভোটারদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমরা এই নির্বাচন বর্জন করছি না। আমরা এই নির্বাচনের প্রত্যেকটি ভুলের কথা বলছি যার দায়ভার নির্বাচন কমিশনের। যারা নির্বাচন বর্জন করেছে তাদের দায়ভারও নির্বাচন কমিশন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তারা নির্বাচন বর্জন করেছে এটিও একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া তাদের প্রতি আমাদের সহানুভূতি ও সমর্থন রয়েছে।

নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবেন কি না বা পুনর্নির্বাচনের দাবি আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসনের পুরো সময় ইচ্ছা ছিল জাকসু বানচাল করা। এরপরও জাকসু শুরু হলো তাকে সাধুবাধ জানাই। জাকসু বর্জন করলে নির্বাচন কমিশন আবারও জটলা আনবে যার জন্য ৩৩ বছর আবারও অপেক্ষা করতে হবে। আর নির্বাচনের যে ফলই আসুক তাদের প্যানেল তা মেনে নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এমআর 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নির্বাচনের স্বার্থে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেক কিছু মেনে নিয়েছে বিএনপি : হাফিজ Nov 01, 2025
img
ফের তানজানিয়ার ক্ষমতায় সামিয়া হাসান Nov 01, 2025
img
২ মাস পর পুঁজিবাজারে সাপ্তাহিক লেনদেনে বাড়লো গতি Nov 01, 2025
img
৪ ক্যাম্পাসে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক : নুর Nov 01, 2025
img
গোল্ডেন বুটে চুমো দিয়ে এমবাপ্পে বললেন, ‘আরো জিততে চাই’ Nov 01, 2025
img
বিএনপি অর্জুন গাছের ছাল, যখন যার প্রয়োজন কেটে নেয়: মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল Nov 01, 2025
img
নির্বাচনের পথে প্রবেশ না করা পর্যন্ত কোনো কিছুর সমাধান নেই : স্বপন Nov 01, 2025
img
আবারও বগুড়ায় ফিরবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট: তামিম Nov 01, 2025
img
আলেমদের সান্নিধ্যে থেকে চরিত্র গঠনের আহ্বান ধর্ম উপদেষ্টার Nov 01, 2025
img
ইনজুরি কাটিয়ে রাতে মাঠে নামছে নেইমার Nov 01, 2025
img
৮ দাবিতে মগবাজারে রেলপথ অবরোধ Nov 01, 2025
img
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ Nov 01, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৫ Nov 01, 2025
img
নেতার ছেলে যোগ্য শিক্ষক, এটা কি অপরাধ, প্রশ্ন রাশেদ খানের Nov 01, 2025
img
রানে ফিরতে জাকেরকে টোটকা দিলেন লিটন Nov 01, 2025
img
সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা Nov 01, 2025
img
হঠাৎ বিশ্ব মিডিয়ায় আওয়ামী লীগ সুনামি : রনি Nov 01, 2025
img
এবার গয়না চুরি করে গ্রেপ্তার অভিনেত্রী রূপা! Nov 01, 2025
img
‘সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে’ - আরপিও সংশোধনে ক্ষুব্ধ ডা. তাহের Nov 01, 2025
img
মঙ্গলবার ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি Nov 01, 2025