মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কির্ককে গুলি করে হত্যার পর সন্দেহভাজনের পালানোর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কিন তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এক মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সন্দেহভাজন আততায়ী ওই ব্যক্তির মাথায় টুপি, চোখে সানগ্লাস ও কালো লম্বা হাতাওয়ালা পোশাক পরিধান করে আছেন।
তিনি ছাদের কিনারা দিয়ে দৌড়াচ্ছেন। তারপর কিনারায় পৌঁছে নিচে ঝাঁপ দেন। আবার দৌড়ে পার্ক করা গাড়ির মধ্যে দিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়েন।
এদিকে, হত্যাকারীর বিষয়ে তথ্য প্রদান ও ধরিয়ে দিতে পারলে ১ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেছে মার্কিন তদন্তকারী গোয়েন্দা সংস্থা।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে অজ্ঞাত ওই ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করেছে এফবিআই।
এফবিআই এক বিবৃতিতে জানায়, ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার দিকে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি ছাদে ওঠেন। তার পরে চার্লি কির্ককে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যান। পালানোর সময় ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছের এক জঙ্গলের মধ্যে ফেলে যান একটি বন্দুক এবং কার্তুজ। এফবিআই আরও জানায়, ছাদ এবং ফেলে দেওয়া অস্ত্রে হত্যাকারীর পা, হাত এবং আঙুলের ছাপ মিলেছে।
গত বুধবার আমেরিকার ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৩১ বছরের চার্লি। সম্প্রতি আমেরিকার কলোরাডো থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফর করার পরিকল্পনা করেছিলেন নিহত রক্ষণশীল নেতা। সফরের নাম দিয়েছিলেন, ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’। ওই সফরসূচির অংশ ছিল ইউটার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে সমবেত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন চার্লি। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ইউটার পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় একাধিক সংস্থা তদন্ত করছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এফবিআইয়ের বিশেষ তদন্তকারী আধিকারিক রবার্ট বোহলসের কথায়, ‘আমরা অভিযুক্তকে খুঁজে বের করার যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমরা এখনও নিশ্চিত নই, তিনি কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন।’ এফবিআই ইতোমধ্যেই এক সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে। তার খোঁজ দিতে পারলে এক লাখ মার্কিন ডলার আর্থিক পুরস্কারের কথাও ঘোষণা করেছে তদন্তকারী দল।
এসএন