লন্ডনের এমিরেটসে শনিবার (আর্সেনালের মাঠে) একেবারেই হতাশাজনক অভিষেক হয়েছে নটিংহ্যাম ফরেস্টের নতুন কোচ অ্যাঞ্জে পোস্তেকোগ্লুর। তার দলের বিপক্ষে নতুন সাইনিং মার্টিন জুবিমেন্দি ও ভিক্টর জাইকেরেসের গোলে ৩-০ ব্যবধানে সহজ জয় তুলে নিয়েছে আর্সেনাল।
মিকেল আর্তেতার দলের হয়ে প্রথম গোলটি আসে ৩০ মিনিটে। ননি মাদুয়েকের কর্নার থেকে ক্রিস উডের হেড প্রতিহত হলে বল পায় স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জুবিমেন্দি। দূরপাল্লার দুর্দান্ত ভলিতে ফরেস্ট গোলরক্ষক মাতজ সেলসকে পরাস্ত করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। রিকার্দো কালাফিওরির লম্বা পাস থেকে বল পেয়ে এবেরেচি এজে নিখুঁতভাবে বল বাড়িয়ে দেন জাইকেরেসকে, যিনি ঠাণ্ডা মাথায় বল প্রবেশ করান নটিংহ্যামের জালে।
৭৯ মিনিটে লিয়ান্দ্রো ত্রোসার্ডের ক্রস থেকে জুবিমেন্দি হেডে করেন নিজের দ্বিতীয় গোল এবং আর্সেনালের জয় নিশ্চিত করেন।
তবে ম্যাচে দুশ্চিন্তার খবরও আছে আর্তেতার জন্য। আর্সেনাল অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড ১৭ মিনিটের মাথায় আবারও কাঁধের চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন। আগের ম্যাচেও একই চোটে তাকে বদলি হয়ে যেতে হয়েছিল। এদিন তার জায়গায় নামানো হয় ইথান এনওয়ানেরিকে।
যদিও আর্সেনালকে বারবার বিপদে ফেলতে চেষ্টা করেছে ফরেস্ট। বিশেষ করে প্রথমার্ধে মিকেল মেরিনোর কাছ থেকে গোল ঠেকান সেলস। আবার দ্বিতীয়ার্ধে ক্রিস উডের হেড গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসায় সমীকরণে ফিরতে পারেনি অতিথিরা।
পুরো ম্যাচে মাদুয়েকেই ছিলেন দর্শক মাতানো খেলোয়াড়। চেলসি থেকে তার আগমন নিয়ে সমালোচনা থাকলেও, এদিন এমিরেটসে তিনি পেয়েছেন দর্শকের দারুণ করতালি। শেষ বাঁশি বাজতেই আর্সেনাল সমর্থকরা বিদ্রূপে মেতে ওঠেন। পোস্তেকোগ্লুকে উদ্দেশ্য করে তারা গাইলেন, ‘আর ইউ টটেনহ্যাম ইন ডিসগাইজ? (তুমি কি ছদ্মবেশী টটেনহ্যাম?)’।
২২ বছর পর লিগ শিরোপার খরা ঘোচাতে মরিয়া আর্সেনালের জন্য এ জয় নতুন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
ইএ/টিকে