সুপার ফোরের পথ খোলা রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে ম্যাচ, সেখানে এসেই ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। লঙ্কানদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি তানজিদ তামিম-পারভেজ ইমনরা। তবে টপ অর্ডার ব্যর্থতার দিনে দারুণ লড়াই করেছেন লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি এনে দিয়েছেন জাকের আলি ও শামিম হোসেন।
আবুধাবিতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন শামিম হোসেন। এ ছাড়া ৪১ রান করেছেন জাকের আলি।
নতুন বলে রীতিমতো আগুন ঝরালেন লঙ্কান পেসাররা! লঙ্কার আগুনে পুড়ে ছাই বাংলাদেশের দুই ওপেনার! ইনিংসের প্রথম ১২ বলের সবকটির ডট! প্রথম ওভারের প্রথম পাঁচ বল ডট খেলার পর ষষ্ঠ বলে নুয়ান থুসারার দুর্দান্ত ইয়র্কারে স্টাম্প উপড়ে যায় তানজিদ তামিমের। ৬ বল খেলে ডাক খেয়ে ফেরেন তিনি।
পরের ওভারে দুশমন্থা চামিরাও দারুণ বোলিং করেছেন। চতুর্থ বলে অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরের বলে জায়গায় দাঁড়িয়ে শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন পারভেজ হোসেন ইমন। ৪ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
শূন্য রানে দুই উইকেট হারানোর পর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন লিটন দাস। তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে রান আউটে পড়েন হৃদয়। ৯ বলে ৮ রান করেছেন তিনি।
বিপর্যয়ের মুখে পাঁচে ব্যাট করতে আসেন শেখ মেহেদি। প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো শুরুর আভাস দিলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। হাসারাঙ্গার গুগলি পড়তে না পেরে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ৭ বলে ৯ রান করেছেন তিনি।
বাকিদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাটিং করার চেষ্টা করছিলেন লিটন। তবে দশম ওভারে হাসারাঙ্গাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন। ২৬ বলে ২৮ রান করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলেন জাকের ও শামিম। ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটি গড়েন দুজনে। তাদের কল্যাণেই লড়াকু পুঁজি পায় দল। শামিম ৩৪ বলে অপরাজিত ৪২ রান করেছেন। সমান সংখ্যক বল খেলে ৪১ রানে অপরাজিত থেকেছেন জাকের।
এমআর/টিকে